ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের নূর মসজিদে সশস্ত্র হামলা থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা বেঁচে যাওয়ায় বিশ্বকাপে নিরাপত্তা নিয়ে এখন থেকেই ভাবছে বিসিবি। আগামী মে-জুন-জুলাইয়ে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলশে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে দিতে হবে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা। সে দাবিই তুলেছেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহামুদ সুজন।
সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডেও বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটছে। যে কারণে এরইমধ্যে আইসিসি থেকে বিসিবিতে বিশ্বকাপের জন্যেএকটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়েছে। এখন বোর্ডের উচিৎ হবে সেটা পর্যবেক্ষণ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া। এ ব্যাপারে সুজন বলেন, ‘ইংল্যান্ড এমন একটি জায়গা যেখানে প্রতি মুহূর্তেই বিস্ফোরণ হচ্ছে। সেখানে সামনে আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাবো। আইসিসি অবশ্য আমাদেরকে একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়ে দিয়েছে। সেই পরিকল্পনা আমরা জানি। আমাদের বোর্ডেরই উচিৎ এই নিরাপত্তার ক্লিয়ারেন্স নিয়ে নেয়া যে কোথায় কি হবে। এর আগেও যখন আমাদের বাংলাদেশের খেলা নিয়ে একটি সংশয় দেখা দিয়েছিলো তখন সরকার কিন্তু সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা দিয়েছিলো। আমার মনে হয় প্রত্যেকটি দেশের সরকারকেই এমনটা দেয়া উচিৎ। বাংলাদেশ কিন্তু সফরকারী দলগুলোকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাটাই দেয়।’
জিম্বাবুয়ে, দক্ষিন আফ্রিকার মতো দেশে সন্ধার পর চলাফেরা করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে দেশ দুটিতে সফরকালে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সতর্কতা দেয়া হয় বলে রাতে ক্রিকেটারদের কেউ একা বেরিয়ে পড়েন না। দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে এমন তথ্যই দিয়েছেন সুজন, ‘আমরা যখন জিম্বাবুয়েতে যাই তখন নিরাপত্তা সমস্যাটি থাকে। আমরা সেখানে সন্ধ্যার পরে বের হতে পারবো না সেটি জানি। আমরা বলে দিতাম যে রাত হওয়ার পর আর একা যাওয়া যাবে না কোথাও। দশ কিংবা পাঁচ জনের গ্রুপও যাওয়া যাবে না। আমরা অনুমতি দিতাম না বা দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও আমরা অনুমতি দেইনি সব জায়গায়। কারণ এখানে সন্ধ্যার পর অনেক কিছু ঘটে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমাদের ক্লিয়ারেন্স দেয়। তাঁরা অনেক নিরাপত্তা দেয়। ওখানে প্রয়োজন বলেই সেটি করে তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বা সরকার মনে করেছে সেখানে এত নিরাপত্তা দেয়ার দরকার নেই এবং এমন কিছু হয়নি কোনও সময়। এই কারণে নিরাপত্তা শিথিল ছিলো হয়তোবা।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস না পেলে কোনো দেশে সফর করবে না বাংলাদেশ। শনিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরীও প্রায় একই কথা বললেন। আপাতত বাংলাদেশের ‘ভবিষ্যৎ সফর’ হচ্ছে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে। মে মাসে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ নিয়েই এখন যত চিন্তা।
Discussion about this post