অনুষ্ঠানের নাম-বিবিসি সেলিব্রেশন ক্রিকেট।
অথচ এই পুরো অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন একজন ক্রিকেটারের উপস্থিতি নেই!
বলা হচ্ছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। অথচ বিশ্বকাপে যারা খেলবেন-তাদের কেউ নেই এই অনুষ্ঠানে!
সত্যিকার অর্থে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নামে বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে যা হল-সেটা মুলত নিখাদ গানের অনুষ্ঠান। কনসার্ট। দেশি-বিদেশি শিল্পীরা গান গাইলেন। বলিউডি স্টাইলে নাচলেন। হিন্দি সিনেমার কিছু চটুল গানও শোনা গেল। অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসা এক দর্শক বিরক্তিভরা গলায় অভিযোগ করলেন-‘বিশ্বকাপ হচ্ছে বাংলাদেশে, কিন্তু এই অনুষ্ঠান দেখে মনে হল ভারতের কোন স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে এলাম!’
পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ভারতীয় শিল্পীদের এহেন দাপটের মধ্যে আমাদের দেশি শিল্পীরাও গান গেয়েছেন। তবে তাদের জন্য সময়টা এত কম রাখা হয় যে সেটা বড্ড বেশি চোখে লেগেছে। আর তাই বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবি তাদের ফেসবুক স্ট্যাস্টাসে লিখে-‘দেশি শিল্পীর জন্য সময় বরাদ্দ মাত্র ২০ মিনিট। আগামী জন্মে যেন ভাই, বিদেশি হয়ে জন্মাই!’
অনুষ্ঠানের শুরুর অংশতে পারফরম করেন দেশীয় শিল্পীদের। মঞ্চে পারফর্ম করার জন্য তারা যে খুব বেশি সময় পেলেন তাও কিন্তু নয়। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ, মমতাজকে দেখা গেল অনুষ্ঠানে। তবে দেশীয় শিল্পীদের পুরো অনুষ্ঠানেই অবমুল্যায়ন করা হয়। গান গাইতে দেয়া হয়নি জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলসকে। এনিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে!
মাগরিবের নামাজের পর ছায়ানট মঞ্চ উঠে গেয়ে উঠে জাতীয় সঙ্গীত-‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন সিকদার, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
কনসার্ট অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষন ভারতের বিখ্যাত সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী এ আর রহমান। অস্কার জয়ী এই তারকা গেয়ে উঠেন তার জনপ্রিয় গানগুলো। আমেরিকার হিপহপ তারকা একনও মঞ্চ মাতায়!
প্রায় ১৬-১৮ কোটি টাকার বিশাল বাজেট ছিল এই অনুষ্ঠানে।
এদিকে মাঠের ক্রিকেট শুরু হবে ১৬ মার্চ থেকে। বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের তিনটি মাঠে এই খেলা চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
Discussion about this post