বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাস বললে সবচেয়ে বেশি যে শব্দটি শোনা যায়, তা হলো-‘নতুন নাম’। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স থেকে ঢাকা ডমিনেটর্স, মিনিস্টার ঢাকা থেকে দুর্দান্ত ঢাকা-একই দল বদলে গেছে বারবার। শুধু ঢাকাই নয়, বরিশাল, কুমিল্লা, সিলেট-প্রায় সব দলেরই ভাগ্যে এসেছে এই পরিবর্তন।
তবে এবার নাম বদলের এই ধারা বন্ধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের সহসভাপতি ও বিপণন কমিটির চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, বিপিএলের নতুন আসর থেকে আর ইচ্ছেমতো দলের নাম পরিবর্তন করা যাবে না।
‘একদিন দল হয় ঢাকা ক্যাপিটালস, পরদিন ঢাকা রাইডার্স-এটা আর চলবে না,’ বলেন শাখাওয়াত। ‘আমরা চাই, নামটা যেন একটা ব্র্যান্ড হয়ে টিকে থাকে। আগামী পাঁচ, দশ, এমনকি বিশ বছর পরেও যেন সেই নামই থাকে। ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম ট্রেডমার্ক করা হবে, যাতে পরিবর্তনের সুযোগ না থাকে।’
দ্বাদশ বিপিএলে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ১১টি প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে ঢাকা, রংপুর, খুলনা, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশাল ও নোয়াখালির জন্য আবেদন পড়েছে একটি করে, আর চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর জন্য দুটি করে।
তালিকায় রয়েছে রংপুর রাইডার্সের টগি স্পোর্টস, ঢাকা ক্যাপিটালসের চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস, কুমিল্লা ফাইটার্সের ফার্স্ট এসএস এন্টারপ্রাইজ, খুলনার জন্য মাইন্ড ট্রি ও রূপসী কনক্রিট, রাজশাহীর জন্য নাবিল গ্রুপ ও দেশ ট্রাভেলস, বরিশালের জন্য আকাশবাড়ি হলিডে, সিলেট ইউনাইটেডের জন্য জে এম স্পোর্টস এবং নোয়াখালির জন্য বাংলা মার্ক।
সবশেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল এবার আবেদন করেনি। ফলে বরিশাল অঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বদল হলে বদলে যেতে পারে দলের নামও। বিপিএলের আরেক সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও নেই এবারের তালিকায়।
বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলছেন, নতুন নীতির লক্ষ্য হলো দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের টিকিয়ে রাখা, ‘আমরা চাই, যারা দল নেবে তারা যেন লাভবান হয়, ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাতেই টুর্নামেন্টের স্থায়িত্ব আসবে।’
আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে মাঠে গড়ানোর কথা বিপিএলের নতুন আসর। প্লেয়ার্স ড্রাফট হতে পারে আগামী ১৭ নভেম্বর।










Discussion about this post