বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই দেশের ক্রীড়া খাত পেয়েছে এক নতুন গতি। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) ও চীনের একাধিক শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যে সমঝোতা চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা শুধু খেলার মাঠে নয়, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায়ও উন্মোচন করছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।
২০২৫ সালের ২৪ মে, চীনের ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট সেন্টার’ উদ্বোধনের মাধ্যমে দুই দেশের ক্রীড়া বিনিময় নতুন রূপ নেয়। বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলামের নেতৃত্বে সফরকারী প্রতিনিধি দল শুধু উদ্বোধনেই থেমে থাকেনি; বরং প্রতিষ্ঠানটি ক্রিকেট বিষয়ে কারিগরি সহায়তার অঙ্গীকারও দিয়েছে।
চীনা ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া ‘তাই চি’ বিকেএসপিতে চালুর জন্য চীন ইতিমধ্যেই দুইজন প্রশিক্ষক প্রেরণ করেছে এবং একটি ‘তাই চি সেন্টার’ চালু করেছে। দুই দেশের খেলোয়াড়রাও একে অপরের দেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বিকেএসপি ও ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তির আওতায় শিক্ষক-ছাত্র বিনিময়, স্কলারশিপ, গবেষণা প্রকল্প এবং যৌথ ক্যাম্প ও একাডেমিক কার্যক্রম চালানোর ব্যাপারে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ফুটবল ও বক্সিংয়ের দুই প্রশিক্ষণার্থী ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ স্কলারশিপে অধ্যয়ন করছেন। চলতি বছর আরও চারজনকে স্কলারশিপ প্রদানের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
২০২৫ সালের মে মাসে বিকেএসপি চীনের উহান স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সমঝোতা অনুযায়ী উহান বিশ্ববিদ্যালয় বিকেএসপিতে একটি রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করবে এবং বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করবে।
এর পাশাপাশি, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেইজিং স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনায় ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং বাংলাদেশ-চায়না ক্রিকেট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রাথমিক মতৈক্য গড়ে ওঠে।শুধু এই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালতেই সীমাবদ্ধ নয় বিকেএসপির দিগন্ত। আরও চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষরের উদ্যোগ চলছে।
Discussion about this post