অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট নিয়ে আলোচনা এখনো শেষ হচ্ছে না। টেস্টে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ডকে ‘বাজে’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। সেই প্রতিবেদনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) যে চিঠি আইসিসি দিয়েছিল, তার জবাব দিল বোর্ড। আইসিসির পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিংয়ের ধারা-৩ মোতাবেক প্রতিবেদনটি জমা দেন ক্রো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চিঠির জবাব দিতে ১৪ দিনের সময়ে বেঁধে দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশকে। যার জবাব নির্ধারিত সময় শেষের আগেই আইসিসিকে দেয়া হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি জানান, ‘গত চার পাঁচ মাসে বাংলাদেশে যে বন্যা পরিস্থিতি ও বৃষ্টি, তাতে সময়মতো মাঠটা প্রস্তুত করা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিলো। এরপরও আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের গ্রাউন্ডস কমিটি খুব কষ্ট করে কাজ করেছে। বৈরি আবহাওয়াটা না থাকলে, এই অবস্থা হতো না।’
যদিও আইসিসিকে দেয়া চিঠিতে বিসিবি কী কারণ দেখিয়েছে তা জানাননি সুজন। একই সঙ্গে বিসিবির সিইও জানান, ২০০৫ সালে আইসিসির অ্যাক্রিডিটেশন পাওয়ার পর শেরেবাংলার মাঠ নিয়ে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল। তার কথা, ‘২০০৫ সালে আইসিসির অ্যাক্রিডিটেশন পাওয়ার পর মিরপুরের এই মাঠ নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি আমরা। আইসিসির কয়েকটি বড় আয়োজন এখানে হয়েছে। ২০১৪ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল এখানে হয়েছে। টানা তিনটি এশিয়া কাপ আমরা এখানেই আয়োজন করেছি। মাঠের যে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিলো, তা মনে করি না। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এটা হয়েছে। ওরা কিন্তু শুধু মাত্র ঘাসের কারণে অভিযোগ করেছে। অন্য দিক ঠিক আছে।’
বিশ্ব ক্রিকেটে গত ১২ মাসে তৃতীয় ভেন্যু হিসেবে ‘বাজে’ রেটিং পেল ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।
Discussion about this post