আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের। পূর্বনির্ধারিত আন্তর্জাতিক সূচি অনুযায়ী, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টির একটি সিরিজ আয়োজনের কথা ছিল দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সেই সফর এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে। সফর বাতিল না হলেও স্থগিত করা হয়েছে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সফর স্থগিতের কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বাস্তবতা এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৫ জুলাই বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সফর স্থগিতের খবর জানায়। এতে বলা হয়- আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি পর্যালোচনার পর দুই বোর্ড ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে সিরিজ আয়োজনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে সফর স্থগিতের কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমানে বাংলাদেশে দল পাঠাতে চায় না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারত সরকারের দৃষ্টিতে দুই দেশের বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা শীতল এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও সেখানে উদ্বেগ রয়েছে। এই অবস্থায় সফরটি ভারতের দৃষ্টিতে কোনো ইতিবাচক বার্তা দেবে না বলেই মনে করছে দিল্লি।
বাংলাদেশ সফর স্থগিত হলেও একই সময়ে ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরের আলোচনা শুরু হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম নিউজওয়্যারের খবরে বলা হয়েছে, আগস্টেই ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেখানে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি–টোয়েন্টি খেলতে পারে ভারতীয় দল। বিসিসিআই ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে।
শ্রীলঙ্কার সূচিও কাকতালীয়ভাবে ভারতের মতোই ফাঁকা হয়ে গেছে। ওই সময় লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও তা স্থগিত হয়েছে। ফলে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের জন্য সময় ও সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল ২৯ আগস্ট জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে, তাই তার আগেই এই সংক্ষিপ্ত সিরিজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
এখনো চূড়ান্ত কিছু না হলেও বিসিসিআই ও এসএলসি দুই বোর্ডই আগস্টের ফাঁকা সময়কে কাজে লাগিয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের সম্ভাবনা যাচাই করছে।
Discussion about this post