নতুন অধিনায়ক, নতুন পরিকল্পনা-সবই ছিল নতুন করে শুরু করার আশা নিয়ে। কিন্তু মাঠে নামলেই বারবার ভেঙে পড়ছে স্বপ্ন। লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল এখন যেন ব্যর্থতার এক চক্রে আটকে গেছে। সর্বশেষ ছয়টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হলেও এবারও বাংলাদেশ দল মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানের কাছে।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হার এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তুলে ধরছে একটি বড় প্রশ্ন: ‘নতুন নেতৃত্বে পুরোনো দুর্বলতাই কি বারবার ফিরে আসছে?’
সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে উন্নতির আভাস ছিল। তানজিদ ও ইমনের ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ২০ ওভারে ১৯৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। তবুও ম্যাচ থেকে ১৬ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি (৪৬ বলে ১০৭*) একাই গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে। সিরিজ জিতে নেয় পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে।
প্রথম দুটি ম্যাচেও পাকিস্তান তুলেছিল ঠিক ২০১ রান করে। বাংলাদেশের ব্যাটাররা তখন ব্যর্থ হয়ে হেরেছিল যথাক্রমে ৩৭ ও ৫৭ রানে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—কোনো বিভাগেই একসাথে জ্বলে উঠতে পারছে না দল।
হারের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বলেন, ‘আমরা যতটা ভালো বোলিং করা দরকার ছিল, ততটা পারিনি। তবে হারিস-সাইম দুজনেই দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। ওদের সুযোগ করে দিয়েছি আমরা নিজেরাই।’
তবে আগামী চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে আশাবাদী সিমন্স। শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে বলেন, ‘দুইটি টেস্ট আছে আগে। সেগুলোর প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে হবে। উন্নতির অনেক জায়গা আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’ ১৭ জুন গলে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
Discussion about this post