ঘটনা ১০ বছর আগের। তারকায় ঠাসা এক দল। শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রাহুল দ্রাবিড় ও যুবরাজ সিং, কে নেই তাই যেন বড় প্রশ্ন। সেই তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে ২০০৭ বিশ্বকাপের ট্রফি জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়েছিল ভারত। কিন্তু তাদের চমকে দিয়েছিল এক দল বীর বাঙালী। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীমদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরে যায় ভারত। সেই হারের পর গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় রাহুল দ্রাবিড়ের দল। সেই হারের জন্য তখনকার কোচ গ্রেপ চ্যাপেলকেই দায়ী করলেন শচীন।
কারণ হিসেবে জানালেন, ভারতীয় ক্রিকেট দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছিলেন চ্যাপেল। শচীন এই ব্যাপারটি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে সতর্ক করলেও লাভ হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা যখন ব্যাপারটি উপলব্ধি করলেন তখন বেশ দেরি হয়ে যায়। ভারতীয় দলকে প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে বিদায় নেন চ্যাপেল।
২০০৭ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই হারের দুঃসহ স্মৃতি পাতা থেকে তুলে শচীন বলেন, ‘চ্যাপেল আমাদের দলকে যেভাবে চালাচ্ছিলেন তাতে করে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়ই মতবিরোধ করেছিল। বিশ্বকাপ শুরুর এক মাস আগে তিনি দলে ব্যাপক রদবদল করেন যা দলের সবার ওপর প্রভাব ফেলে। অথচ তার কোন দরকার ছিল না। অন্য দলগুলো নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুশীলন করেছিল এবং আগের বছরের কৌশলই অনুসরণ করেছিল। কিন্তু তখন আমরা আমাদের দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গেছি।’
বাংলাদেশের কাছে হার নিয়ে শচীন বলেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি আমরা বাংলাদেশের কাছে হারতে পারি। আমরা সেখানে একটি দল হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু সংগঠিত ছিলাম না। আগেই বোর্ড কর্তাদের বলেছিলাম দল ভালো অবস্থানে নেই আমরা।’
বলা দরকার, পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে মাশরাফি বিন মুর্তজা (৪/৩৮), আবদুর রাজ্জাক (৩/৩৮) ও মোহাম্মদ রফিকের (৩/৩৫) বোলিং অাক্রমণে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম (৫১), মুশফিক (৫৬) ও সাকিবের (৫৩) হাফসেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পা রাখে বাংলাদেশ।
Discussion about this post