সিরিজ জয়ের হাতছানি নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। আগের ম্যাচটা জিতে আত্মবিশ্বাসও ছিল আকাশে। কিন্তু সমীকরণ মিলল না। কুসাল মেন্ডিসের দুর্দান্ত ইনিংস ও নুয়ান তুষারার বিধ্বংসী বোলিংয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা।
৭ ছক্কায় ৩০ বলে ৫৩ রান করেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের হয়ে এক টি-টুয়েন্টি ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এটিই। দেশের হয়ে আটে নেমে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও রিশােদের। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না।
শনিবার সিলেটে সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা জিতল২৮ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল লঙ্কানরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে সফরকারীরা ৭ উইকেটে করে ১৭৪ রান। ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ রান করেন কুসাল মেন্ডিস। এরপর নেমে ৩২ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমে ব্যবধান গড়ে দেন তুষারা চমকে দেন। হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিতে পারলেন কোনো শ্রীলঙ্কান বোলার।
এবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজে। বুধবার চট্টগ্রামে শুরু তিন ম্যাচের এই লড়াই!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৭৪/৭ (ধানাঞ্জায়া ৮, কুসাল মেন্ডিস ৮৬, কামিন্দু মেন্ডিস ১২, হাসারাঙ্গা ১৫, আসালাঙ্কা ৩, ম্যাথিউস ১০, শানাকা ১৯; সামারাউইক্রামা ৭*; শরিফুল ৪-০-২৮-১, তাসকিন ৪-০-২৫-২, শেখ মেহেদি ৩-০-২২-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৪৭-১, রিশাদ ৪-০-৩৫-২, সৌম্য ১-০-১১-০)।
বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৪৬ (লিটন ৭, সৌম্য ১১, শান্ত ১, হৃদয় ০, মাহমুদউল্লাহ ০, জাকের ৪, শেখ মেহেদি ১৯, রিশাদ ৫৩, তাসকিন ৩১, শরিফুল ৪, মুস্তাফিজ ৭*; ম্যাথিউস ১.১-০-৫-০, বিনুরা ৪-০-৩৯-০, ধানাঞ্জায়া ০.৫-০-২-১, নুয়ান তুষারা ৪-১-২০-৫, হাসারাঙ্গা ৪-০-৩২-২, থিকশানা ৪-০-৩৫-১ শানাকা ১.৪-০-১১-১)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ২৮ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কা ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নুয়ান তুষারা।
সিরিজসেরা: কুসাল মেন্ডিস।
Discussion about this post