ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
কোন দল যখন বিদেশ সফরে যায় তখন সবার আগে নিরাপত্তার ব্যাপারটি গুরুত্ব পায়। ঠিক তেমন আশ্বাসই বাংলাদেশকে দিয়েছিল ক্রিকেট নিউজিল্যান্ড। কিন্তু গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সেটি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনও তুলেন একই প্রশ্ন। সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বলেছেন, বাংলাদেশকে পূর্ন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে নিউজিল্যান্ড। এখন থেকে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বিসিবি।
স্বাগতিক দেশের সব সময় সফরকারীদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব থাকে। আর এটা নিশ্চিত করারও তাদেরই কাজ। তবে এটি একাক দেশে একাক রকম। নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন এ ব্যাপারে বলেন, ‘যখন কোনো দল বিদেশে যায়, বিদেশে পৌঁছে, তখন কিন্তু তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডের। অন্যান্য বিষয়ও ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। এটাই প্রচলিত নিয়ম। বছরের পর বছর, যুগ যুগ ধরে এটাই হয়ে আসছে।’
সফরকারীদের দেশের টিম বাস, গাড়ী বহরের সঙ্গে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফরে দৃশ্যমান সে ব্যবস্থা দেখা যায়নি বলে মনে বিসিবি সিইও, ‘এটা দুঃখজনক যে দৃশ্যমান কোনো সিকিউরিটি ব্যবস্থা আমরা দেখিনি। আমরা জানি না তাদের সিকিউরিটি সিস্টেমটা কী। কিন্তু যখন দুই দেশের সিরিজ বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি হয়, তখন কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের নিরাপত্তার কথা বলা হয়। কিন্তু একেকটা দেশের নিরাপত্তার মান নির্ধারণ করা হয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়নের মাধ্যমে।
যখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিন আফ্রিকার মতো দেশ বাংলাদেশ সফরে আসে, তার আগে তাদের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানে। পরে নির্বিঘে সফরের নিশ্চয়তা নিয়েই তবে সফরের ক্লিয়ারেন্স দেয়। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূর-এ সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় অল্পের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা বেঁচে যাওয়ায় সতর্ক সংকেত পেয়েছে বিসিবি। ভবিষ্যতে এসব দেশ সফরের আগে বিসিবি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তাদের রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নেবে। এ নিয়ে শনিবার যেমনটি বলেছেন সুজন, ‘ আমাদের দেশে যখন কোনো দল আসে, তখন কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এর সাথে সফরকারী দল যদি আরো কিছু যোগ করার প্রয়োজন মনে করে তাহলে তারা তাদের স্থানীয় হাই কমিশনের সহায়তায় তারা সেটা করে। এটাই হলো সাধারণ অনুশীলন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের মতো দলের সাথে এ রকম করা হয়। আমরা ভবিষ্যতে একটা মিনিমাম সিকিউরিটি মান তৈরি করবো, সেটা নিশ্চিত করলেই আমরা ট্যুর করবো। এই ধরনের কিছুই সমীচিন হবে।’
Discussion about this post