আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন কিছুই করা হয়নি তার। ক্যারিয়ারটাও সংক্ষিপ্ত। তারপরও বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা কিছুতেই ভুলতে পারবেন না তাকে। কারণ ২০১৪ সালে এই স্টুয়ার্ট বিনিই যে সর্বনাশ করেছিলেন টাইগারদের। জেতা ম্যাচটা কেড়ে নেন এই মিডিয়াম পেসার। বাংলাদেশকে সেদিন হারানো সেই ভারতীয় ক্রিকেটারটি আজ সোমবার সব ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বললেন গুডবাই। ৩৭ বছর বয়সে বিদায় বললেন বিনি।
সোমবার বিদায় বলতে গিয়ে গর্বও থাকল তার কথায়। বলেন, ‘আমি আপনাদের জানাতে চাই- আন্তর্জাতিক ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করাটা দারুণ উপভোগ করেছি। গর্বিত ভারতীয় হিসেবেই বিদায় বলছি আমি।’
৭ বছর আগে মিরপুরে ওয়ানডে ম্যাচে ভারতকে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। যেখানে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল মুশফিকুর রহিমরা। কিন্তু স্টুয়ার্ট বিনির বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশ অলআউট মাত্র ৫৮ রানে। বাংলাদেশকে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয় তার মিডিয়াম পেস তোপে। মাত্র ৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন বিনি। এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য। এটিই ওয়ানডে ক্রিকেটে এখনো ভারতের কোন বোলারের ওয়ানডেতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
সেই ক্রিকেটারটি বললেন বিদায়। ভারতের হয়ে ৬ টেস্ট, ১৪ ওয়ানডে ও ৩টি টি-টুয়েন্টি খেলেন বিনি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ফিফটি রয়েছে একটি করে। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে টেস্টে উইকেট ৩টি, টি-টুয়েন্টিতে ১টি ও ওয়ানডেতে ২০টি।
একইসঙ্গে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯৫ ম্যাচে ১১ সেঞ্চুরিতে রান ৪৭৯৬। উইকেট ১৪৮টি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচে তুলেছেন ১৭৮৮ রান, উইকেট ৯৯টি। ১৫০ টি-টুয়েন্টিতে ১৬৪১ রান। তুলেছেন ৭৩ উইকেট। গত মার্চে ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলেছেন ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
স্টুয়ার্ট বিনির বাবা রজার বিনির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বেশ ভাল। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য তিনি। আসরের সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নেন এই পেসার। ভারতের হয়ে খেলেছেন ২৭ টেস্ট আর ৭২ ওয়ানডে। বাবার সাফল্যের আড়ালেই থাকলেন বিনি।
ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনির স্ত্রীও বেশ পরিচিত। গ্ল্যামার গার্ল। যার নাম মায়ান্তি আগারওয়াল। ক্রিকেট সঞ্চালনে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
Discussion about this post