অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো। ২৪ ঘন্টারও কম এক ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে আসেন শচীন টেন্ডুলকার। বন্ধু লুৎফর রহমান বাদলের আমন্ত্রনে এই সফরে এসেছিলেন ভারতীয় এ ক্রিকেট কিংবদন্তি। গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স যেটি নাম বদলে এখন হয়েছে ‘লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ’ তারই লগো আর জার্সি উন্মোচন করলেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশেষ একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শচীন। এরপরই শুরু হয়ে যায় তার ব্যস্ততা।
সংগত কারনেই ঢাকার কোন ক্লাবের লগো কিংবা জার্সি উন্মোচন নিয়ে আগ্রহ থাকার কথা নয় শচীনের মতো কিংবদন্তি তুল্য ক্রিকেটারের। কিন্তু লুৎফর রহমান বাদলের সঙ্গে তার বন্ধুত্বা অনেক দিনের। যিনি আবার লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের স্বত্বাধিকারি। তারই নিমন্ত্রণে ঢাকায় আসলেন শচীন।
বন্ধুকে দেওয়া কথা রাখলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানানোর পর এবারই প্রথমবারের বাংলাদেশে এলেন তিনি। লগো উন্মোচনের আগে দুপুরে যান বাদলের ক্লাবটির উৎসভূমি রূপগঞ্জে। নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুরুতেই মিলল লাল গালিচা অভ্যর্থনা। ঢোল-ঢাকের তালে শুরু হয় রূপগঞ্জবাসীর শচীন-বরণ। ‘কেমন আছেন? ভালো আছি’-এমন সহজ-সরল বাংলা দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন মারাঠি এ মহাতারকা।
শচীনের গায়ে ছিল হলুদ রংয়ের টি-শার্ট আর জিনস। চোখে নীল রংয়ের রোদচশমা।
দুপুর ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তারাব পৌরসভার বিশ্বরোড বালুর মাঠে নামেন শচীন আর বাদল। শচীন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করতে সেখানে যান। তিনি নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেন। দেখিয়ে দেন টয়লেট থেকে ফিরে কীভাবে হাত ধুতে হবে।
একইসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার হাতে আইএফআইসি ব্যাংকের ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন শচীন। রূপগঞ্জে একটি গাছও রোপণ করেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, সেখানকার ক্ষুদে ক্রিকেটপ্রেমীদের টিপসও দেন টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পুরো আয়োজনে দুই বন্ধু শচীন-বাদলের সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লোকমান হোসেন, তারাব পৌরসভার মেয়র সফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ অনেকেই।
Discussion about this post