ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে কোনো রানই করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। এবার শূন্যের পর সেঞ্চুরি। ১২২ বলে ১১০। এনামুলের সেঞ্চুরির সঙ্গে মিডল অর্ডারে মমিনুলের ঝলমলে ৬৭ ও নাঈম ইসলামের ৩৫ বলে ঝড়োগতিতে অপরাজিত ৪৭ রান-মূলত এরই যোগফলে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংসের স্বাস্থ্যটা বেশ সবলই দেখাল। উস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৭৪ রান।
তবে আশঙ্কা একটাই-এরচেয়ে বেশি রান করে নটিংহ্যামশায়ারের কাছে আগের ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এ ম্যাচেও একই ঘটনা। ২৭৪ রান তুলেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। উস্টারশায়ার ১৫ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। সেঞ্চুরি করেন মিথেল। ব্যাটিং ভালো হলেও সফরে বোলিং জুতসই হচ্ছে না এ দলের।
টসে জিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম ব্যাটিং বেছে নেন। দুই ওপেনার এনামুল হক ও শামসুর রহমান দলকে বেশ ভালো একটা শুরু এনে দেন। ওপেনিং জুটিতে ১৪.১ ওভারে ৭৭ রান পায় ‘এ’ দল। উস্টারশায়ারের সাইক চৌধুরী ২২ রানে শামসুর রহমানকে ফেরান। সফরে অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন। ৯ রানে সাইক চৌধুরীর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এনামুল ও মমিনুল দলের ইনিংসকে সামনে বাড়ান। ৯৬ রানের জুটি গড়েন তারা। চলতি ইংল্যান্ড সফরে বেশ ভালো ফর্ম দেখাচ্ছেন মমিনুল হক। ৬০ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেন ৬৪ রান। শুরু থেকে দারুণ প্রভাব দেখানো এনামুল হক হাফসেঞ্চুরি তোলার পর তার ইনিংসটা বড় করার দিকে মনোযোগ দেন। ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার সাহায্যে ১১৯ বলে সেঞ্চুরি করেন এনামুল। সেঞ্চুরি শেষে পরের দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকান। পরের বলেও একই কাণ্ড করতে গিয়ে ১১০ রানে ফিরে আসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ‘এ’ দল : ২৭৪/৮ (৫০ ওভার, এনামুল ১১০, মমিনুল ৬৪, নাইম ৪৭*, সাইক চৌধুরী ৩/৩৫)।
উস্টারশায়ার : ২৭৫/৪ (৪৭.৩ ওভারে, মিথেল ১০১)।
Discussion about this post