বেশ আয়োজন করেই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অ্যাওয়ার্ড নাইট। ভালো খেলার স্বীকৃতি স্বরূপ ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করেছিল বোর্ড। যেখানে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেরা পারফরমারদের দেওয়া হতো পুরস্কার। কিন্তু ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর এই অ্যাওয়ার্ড নাইট আর অনুষ্ঠিত হয়নি। এ কারণে স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ড বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করে। এ অবস্থায় বাংলাদেশরেয়েছে পিছিয়ে। এবার এনিয়ে ভাবছে বিসিবিও। সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বললেন,‘চাইলেই আয়োজন করতে পারি।’
বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’-এ সেরা ফেডারেশন/সংস্থা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পুরস্কার গ্রহণ শেষে পাপন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এরকম আয়োজন না করার কোনো কারণই নেই। আগেও করতে পারতাম। চাইলে এখনও করতে পারি। আমাদের অবশ্যই পরিকল্পনায় আছে। তবে আজকের এই পুরস্কারের সাথে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। আমরা যারা ক্রীড়াঙ্গনে আছে তাদের জন্য এটা অনেক বড় অর্জন।’
৭ টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেরা ফেডারেশন/সংস্থার পুরস্কার গ্রহণ শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছিলেন,‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যখন কোনো কিছু অর্জন করে তখন স্বাভাবিকভাবেই সারাদেশের মানুষের মতো আমরাও অত্যন্ত আনন্দিত হই। খুব ভালো লাগে। আমাদের দেশে কিন্তু অনেকগুলি পুরস্কার আছে। অনেক বড় বড় পুরস্কার সেগুলি। স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ অনেক পুরস্কার আছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় শহীদ শেখ কামাল জাতীয় পুরস্কার, এর চেয়ে বড় অর্জন আর হতে পারে না। এটা ক্রিকেট এবং খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত। আমি মনে করি এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার এবং সময়টাও বেশি ভালো লাগছে।’
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে ক্রিকেট থেকে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’ পেলেন যুববিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী।
Discussion about this post