এক সময় তিনি ছিলেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়ার লড়াই চলছেই। কিন্তু হারানো সেই স্থান ফিরে পাচ্ছেন না নাসির হোসেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও আছেন সেই লড়াইয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের ওয়ানডে সিরিজ খেলার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬২ রানের এক ইনিংস। এই ইনিংস খেলে নাসির বলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করে নজর কাড়তে হবে, এই ভাবনা ছিল না। আমি স্রেফ উপভোগ করছি। সেঞ্চুরি হলে অবশ্যই ভালো লাগত আমার।’
ফেরার লড়াইয়ে থাকা মুমিনুল হকও ভাল একটি ইনিংস খেললেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে মূল দলে ফিরতে নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তারা দু’জন।ম্যাচে মুমিনুল আউট হয়েছেন ৭৩ রানে। সেঞ্চুরি করলে হয়তো জবাবটা ভাল করে দেয়া যেতো।এছাড়া তানবীর হায়দার ৫০ করেই আউট হয়েছেন।
চট্টগ্রামের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ২৮৩ রানে অলআউট হয়েছে তামিমের দল। আগের দিন ৯ উইকেটে ১৪০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে মুশফিকের দল। চোট কাটিয়ে উঠে ফিরে ৩ উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন।
আগামী ১৮ আগষ্ট অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। মুশফিকদের সঙ্গে দুটি টেস্ট খেলবে তারা। যার একটি হবে ঢাকায়, অন্যটি চট্টগ্রামে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
মুশফিকের দল ১ম ইনিংস: ১৪০/৯ ডিক্লেয়ার্ড
তামিমের দল ১ম ইনিংস: ৭৮.৩ ওভারে ২৮৩ (আগের দিন ৪৯/১) (তামিম ২৯, লিটন ৫, মুমিনুল ৭৩, সাব্বির ১০, নাসির ৬২, তানবীর ৫১, সানজামুল ২২, তাসকিন ২, রাব্বি ২, শফিউল ১০*, মুস্তাফিজ ২, রুবেল ১৭-২-৫৪-৩, শুভাশিস ৭.৪-৩-১৭-০, আল আমিন ৮.২-১-২২-০, নাঈম ৯-১-২৩-১, তাইজুল ১৮.৩-০-৮০-২, সাকলাইন ১৭-৪-৬৪-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৮-০)।
মুশফিকের দল ২য় ইনিংস: ৫ ওভারে ২৪/১ (ইমরুল ৮, সৌম্য ৯*, শান্ত ৭*, মুস্তাফিজ ১ উইকেট)
Discussion about this post