ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গত বিপিএলে তার নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে তারই নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে অধিনায়ক হলেন না তিনি। দলকে নেতৃত্ব দিলেন রায়াদ এমরিট। কিন্তু ইমরুল সফল। ৩৮ বলে করেন ৬১ রান। ইনিংসে ছিল ৫ ছক্কা আর দুই চার। জয়ের নায়ক তিনিই।
চট্টগ্রামকে ৫ উইকেটে জিতিয়ে ম্যাচ শেষে মুখোমুখি হলেন গণমাধ্যমের। সেখানে বললেন নানা কথা। চলুন সেই সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশ দেখে নেই_
বুধবার মিরপুরে ম্যাচটিতে আপনারই চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল। কেন আপনি নেতৃত্বে নেই?
রায়াদ এমরিট! তবে ম্যাচ শেষে চমক থাকল ইমরুলেরই। জয়ের নায়ক যে তিনিই। সংবাদ সম্মেলনে এসে নেতৃত্ব নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। বলেন, ‘দেখুন এটি টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। উনারা যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন। হয়তো বিদেশি ক্রিকেটারকে দিয়ে বেশি ভালো অধিনায়কত্ব হবে তাই তাকে দিয়েছে। যাকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে ও আগে অনেক অধিনায়কত্ব করেছে। অনেক অভিজ্ঞ। হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট চিন্তা করেছেন আমার চেয়ে ব্যাটার অপশন উনি, উনি ভালো করবে। এটা সব কিছু চিন্তা করেই দেওয়া হয়েছে।’
ফর্ম কেন হারান?
আপনাদের এই বলার জন্যই ফর্ম হারিয়ে ফেলি। ফর্মে থাকতে থাকতে ফর্ম থেকে হারিয়ে যাই।
৪ নম্বরে ব্যাটিং প্রসঙ্গে..
এসব নিয়ে এখন চিন্তা করি না। এখন চিন্তা করি যে ম্যাচ খেলছি দলের জন্য খেলি। এখন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলছি, ভাবছি এখানেই মনোযোগ দেওয়া ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনো অনেক দূর। অনেক দিন বাকি আছে। এতদিন বাঁচা-মরার ব্যাপার অনেক কিছুই আছে। এগুলো নিয়ে টেনশন করে লাভ নেই।
বোলারদের মোকাবেলা প্রসঙ্গে..
স্থানীয় বোলারদের সম্পর্কে ভালো করে জানি- ওরা কীভাবে বোলিং করে, করবে। পরিকল্পনা ছিল একটা বোলারকে টার্গেট করব, ঐ ওভারেই খেলা পাল্টে যাবে।
ক্যারিয়ার নিয়ে কি বলবেন?
আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে কখনো আপসেট নই। এখন অনেক ভালো আছি। জাতীয় দলে যখনই সুযোগ পাই খেলতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। হ্যাঁ, ক্যারিয়ারে আরও ধারাবাহিকতা থাকতে পারত। হয়নি, এটা নিয়ে আফসোস করে কোনো লাভ নেই। সামনে যে কয়দিন করব ইচ্ছা ভালো ক্রিকেট খেলার।
সমালোচনা হলে কি করেন?
জাতীয় দলে একটা ম্যাচে রান করতে না পারলে পরের ম্যাচে ভালো করা কঠিন হয়ে যায়। এখানে আমি জানি- ভালো খেলি খারাপ খেলি সব ম্যাচই খেলব। এই স্বাধীনতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বোধ নিজের মধ্যে থাকলে খেলা বদলে যাবে। সমালোচনা তো হবেই, মানুষ ফেমাস না হলে সমালোচনা হয় না। ভালো হোক খারাপ হোক একটা সমালোচনা হয়ই। ভারত সিরিজে যে খারাপ করেছি এটা নিয়ে আমিও হতাশ।
Discussion about this post