প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে খুলনায় তিনদিনের প্রাকটিস ম্যাচে রান পেলেন মুশফিকুর রহীম। ইনজুরি ও ফিটনেস ঘাটতি কাটিয়ে এ ম্যাচেই ছয় মাস পর আবার মাঠে ফিরলেন মাশরাফি বিন মতুর্জা। জাতীয় দলের সহঅধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে লাল দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। বল হাতে ইনিংসের সূচনাও করেছেন। তবে মাঠে ফেরার দিন উইকেটের দেখা মেলেনি। ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে বাকি তিন পেসার সাজেদুল, শফিউল ও মুকতারের মতোই উইকেটশূন্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।
মঙ্গলবার মাশরাফির মাঠে ফেরার দিনে উজ্জ্বল মুশফিকুর রহিম ও আবদুর রাজ্জাক। টপ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ধুঁকছিল সবুজ দল। একাই টেনে তুলেছেন অধিনায়ক মুশফিক। দিন শেষে ৬৯ রানে অপরাজিত সবুজ দল অধিনায়ক। আর পেসারদের ব্যর্থতায় প্রথম দিন মাত্র ৪ উইকেটের পতন ঘটেছে-তার সব ক’টিই পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার রাজ্জাক।
বৃষ্টি তিনদিনের খেলার প্রথম দিন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টিতে দু’দফা খেলা বিঘ্নিত হয়েছে। প্রথমবার ১৪ নম্বর ওভারে। আর পরের বার ৪২ নম্বর ওভারে। দেশে ফিরে অনভ্যস্ত ইংলিশ কন্ডিশনের ধোঁয়া তুললেও আসলে যে তারা কেউই ফর্মে নেই-কাল তার প্রমাণ মিলেছে আরেকবার। ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড ঘুরে আসা জহুরুল ইসলাম (১৯), রকিবুল হাসান (১৭) ও মমিনুল (১৪) ব্যর্থ। ফিটনেসে ঘাটতির কারণে যাকে ইংল্যান্ড পাঠানো হয়নি, সেই শাহরিয়ার নাফীসও রান পাননি। ফিরে গেছেন ২৩ রানে। কিন্তু মুশফিক ঠিকই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন। চাপের মুখেও ইচ্ছেমতো খেলেছেন। ১৪৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ১১০ বলে ৬৯ রানে নটআউট মুশফিক ৫২ রানই করেছেন চার (৭টি) ও ছক্কা (৪টি) দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিসিবি সবুজ : ১৫৬/৪, ৬৪ ওভার (জহুরুল ১৯, শাহরিয়ার নাফীস ২৩, রকিবুল ১৭, মমিনুল ১৪, মুশফিকুর ৬৯ ব্যাটিং, মেহরাব জুনিয়র ৯ ব্যাটিং; রাজ্জাক ৪/৩৬)।
Discussion about this post