ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এক বছরেরও বেশি সময় ক্রিকেটের বাইরে তিনি। মাঠের বাইরেও। গত বছরের অক্টোবরের পর থেকেই তো ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফিরেই বুঝিয়ে দিলেন দুঃস্বপ্নের দিনগুলোতে নিজের যত্নও নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ফিটনেস পরীক্ষাতে বাজিমাত এই অলরাউন্ডারের।
বিপ টেস্টে সব ক্রিকেটারের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর তুললেন সাকিব। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন তিনি।
বুধবার সকালে বিপ টেস্ট দিতে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসেন সাকিব। আগের মতোই প্রাণবন্ত দেখা গেল তাকে। হোম অব ক্রিকেট তো তার চেনা আঙিনা। বিপ টেস্টে বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেন বিশ্বসেরা। এক বছরেরও বেশি সময় পর ফিটনেস টেস্ট দিয়ে যা স্কোর করলেন তা তো রীতিমতো বিস্ময়কর।
কিন্তু ক্রিকেটারটি যখন সাকিব তখন বিস্ময়ের কিছু নেই। তিনি এমনই। সবার সেরা। ফের সেই প্রমাণটাই দিলেন।
সাকিবের বিপ টেস্ট পরিচালনা করেন হাইপারফরম্যান্স ইউনিট ও জাতীয় ক্রিকেট দলের ট্রেনার নিক লি। পরীক্ষা শেষে তিনিই বলছিলেন, ‘দেখুন, সাকিব ভালো করেছে। সবকিছুই একদম ঠিক ছিল।’
বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের জন্য বিপ টেস্টে বেঞ্চমার্ক দেওয়া হয় ১১ নম্বর। বিসিবির সেই বেঞ্চমার্কের চেয়েও বেশি স্কোর হলো মিস্টার অলরাউন্ডারের। গত দুই দিন বিপ টেস্টে ১২ স্কোর ছিল বিরল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩.৬ পেয়েছিলেন কুমিল্লার পেসার মেহেদী হাসান।
সাকিবের বিপ টেস্ট নিয়েছেন হাইপারফরম্যান্স ইউনিট ও জাতীয় ক্রিকেট দলের ট্রেনার নিক লি। পরীক্ষা শেষে তিনি বলছিলেন, ‘সাকিব ভালো করেছে। সবকিছুই একদম ঠিক ছিল।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরই আড়ালে চলে যেতে হয় সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞা কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে সময়। সেপ্টেম্বরে বিকেএসপিতে ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে মার্কিন মুল্লুকে ফেরার পর ওজনও কিছুটা বেড়ে যায়।
কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে সাকিব বুঝিয়ে দিলেন ফের ঝড় তুলতে তিনি প্রস্তুত।
Discussion about this post