চট্টগ্রামের বাতাসে আজ যেন নতুন সুর-ঘূর্ণি, গতি আর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে লিটন দাসের দল শুরু থেকেই দেখিয়েছে দৃঢ়তা, বিশেষ করে বল হাতে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা স্বপ্নের মতো করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১ ওভারে মাত্র এক উইকেটে ১০৫ রান তুলে ফেলেছিল তারা। তখন মনে হচ্ছিল, আবারও বাংলাদেশের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু নাসুম আহমেদের এক ওভারেই বদলে যায় গল্পের মোড়। টানা দুই বলে রাদারফোর্ড ও পাওয়েলকে ফিরিয়ে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি হোপের দল।
শেষ ৯ ওভারে মাত্র ৪৪ রান তুলতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হারায় ৮ উইকেট! যে দল ১৮০ রানের স্বপ্ন দেখছিল, তারা শেষ পর্যন্ত থামে ১৪৯ রানে। শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান যেন ঢেলে দেন অভিজ্ঞতার ঝাঁজ-পরপর দুই বলে ফেরান শেফার্ড ও পিয়েরে, ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন আকিল হোসেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলার মুস্তাফিজ-৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট। নাসুমের ঘূর্ণিতে ২ উইকেট, রিশাদের লেগস্পিনে আরও ২। তাসকিনও নেন একটি উইকেট। বোলিং ইউনিটের এই শৃঙ্খল পারফরম্যান্সই এনে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস, যা প্রথম ম্যাচে এতটাই অভাব ছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে লড়েছেন কেবল দুজন-শাই হোপ ৫৫, আলিক আথানাজে ৫২। বাকিদের ব্যাট যেন হঠাৎ নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। আজ সেই সিরিজে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ তৈরি করেছেন বোলাররা। এখন কাজটা বাকি ব্যাটারদের-এই রান তাড়া করে জয়ের সুবাস পেতে হবে লিটনদের।
দলে এসেছে একমাত্র পরিবর্তন-নুরুল হাসান সোহানের জায়গায় ফিরেছেন জাকের আলী অনিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (হোপ ৫৫, আথানাজে ৫২; মুস্তাফিজ ৩/২১, নাসুম ২/৩৫, রিশাদ ২/২০)










Discussion about this post