হিসেব মতোই সবকিছু হল। প্রথম দু’দিনের দাপটের পর তৃতীয় দিনেই ম্যাচ জিতে নিল রাজশাহী বিভাগ। ওয়ালটন ১৫তম জাতীয় লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে চট্টগ্রাম বিভাগকে ৪০৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
সোমবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন বিকেএসপিতে ৭ উইকেটে ১৬৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করে চট্টগ্রাম। পরে অলআউট হয় ২০৮ রানে। ৪৬৭ রানের লিড পায় মুশফিকুর রহীমের দল।
প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৬৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা রাজশাহী। ফলোঅন না করিয়ে ফের ব্যাট করতে নামে তারা। এরপর ২ উইকেটে ১২৮ রান তুলে ২য় ইনিংস ঘোষণা করে।
জয়ের জন্য ৫৯৬ রানের লক্ষ্য দাড়ায়। ২য় ইনিংসে চট্রগ্রাম থামে ১৯২ রানে।
এই ম্যাচে চোট পেয়েছেন রাজশাহীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম এবং চট্রগ্রামের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।
প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ২৫৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরা ফরহাদ রেজা।
##################################################
ফলোঅনের শঙ্কায় চট্টগ্রাম
ওয়ালটন ১৫তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিকেএসপিতে ফলোঅনের শঙ্কায় চট্রগ্রাম। কক্সবাজারে চট্টগ্রামের মাঠে লিড নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। ফতুল্লার আউটার স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে চাপে সিলেট।
রাজশাহী-চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রথম দিন ৭ উইকেটে ৪২৪ রান তুলে থেমেছিল রাজশাহী। রোববার ৯ উইকেটে ৬৭৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করল রাজশাহী। আগের দিন ১৮২ রানে অপরাজিত থাকা ফরহাদ রেজা ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন।
মুক্তার আলী করলেন ১৬৮ রান। ৮ বাউন্ডারি ও ১৬ ছক্কার সাহায্যে তার ১৪৮ বলে ১৬৮ রানের এ ইনিংস তাকে বিশ্ব রেকর্ডের মর্যাদা এনে দিয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের এক ইনিংসে এই ১৬ ছক্কা তাকে বিশ্ব রেকর্ডের ভাগীদার করেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ৬৭৫/৯ডি. (ফরহাদ রেজা ২৫৯, সানজামুল ১৭২, মুক্তার আলী ১৬৮; মেহেদি ২/৬৭, আবদুল্লাহ আল মামুন ২/৬৭, আলী আকবর ৪/১৫৭)।
চট্রগ্রাম: ১ম ইনিংস: ১৬৫/৭
ঢাকা বিভাগ-বরিশাল বিভাগ
প্রথম ইনিংসে লিড নিল ঢাকা বিভাগ। ৪ উইকেটে তারা তুলেছে ৩৩৬ রান। তৈয়বুর পারভেজ সেঞ্চুরি (১০২) করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল ১ম ইনিংস : ৩২৩/১০।
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস : ৩৩৬/৪ (আবদুল মজিদ ৮৬, রনি ৩৬, তৈয়বুর ১০২, শুভগত ৬৫ ব্যাটিং, নাদিফ ৩২ ব্যাটিং; মনির ২/৯৭)।
সিলেট-রংপুর বিভাগ
দুই সেঞ্চুরিতে রংপুর ৩৯১ রান করল প্রথম ইনিংসে। নাঈম ইসলাম আগের দিন সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। রোববার করলেন তানভির হায়দার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর ১ম ইনিংস : ৩৯১/১০ (নাঈম ১৪৪, তানভির ১১১, শুভ ৭২; নাসুম আহমেদ ৭/৯৭, এনামুল জুনিয়র ২/১১৬)।
সিলেট ১ম ইনিংস : ১৩২/৭ (শাহনাজ ৭১, রাজিন ১২, এনামুল জুনিয়র ১২; শুভাশীষ ৩/৪০, শুভ ২/২৮)।
ঢাকা মেট্রো-খুলনা বিভাগ
কক্সবাজারে ১ম ইনিংসে লিড পেয়েছে খুলনা। এ অবস্থায় দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৪ রান। ম্যাচে এখন এগিয়ে ৬৩ রানে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস : ১৭২/১০ এবং ২য় ইনিংস : ১০৪/৩, (শামসুর ৬৯ ব্যাটিং, সৈকত ২২; রাজ্জাক ৩/২৫)।
খুলনা ১ম ইনিংস : ২১৩/১০ (রবিউল ২৯, ইমরুল কায়েস ১৪, তুষার ৫৫, মিঠুন ২৬, রিপন ৬১; মাহমুদউল্লাহ ৪/৪৫, আরাফাত সানি ২/৩৯)।
Discussion about this post