শুরুতেই সম্ভাব্য সূচি থেকে সরে গেল ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম)। বলা হচ্ছিল এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। কিন্তু সেটি দুই সপ্তাহের বেশি পিছিয়ে গেল। একইসঙ্গে বদলে গেল ক্রিকেটার ধরে রাখার সংখ্যা। এবারের প্রিমিয়ার লিগে আগেরবারের দল থেকে ৫ জন করে ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে প্রতিটি ক্লাব। এটি আগে যেটি বলা হয়েছিল ৪ জন। বুধবার ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা শেষে এই সিদ্ধান্তগুলো জানান সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজি ইনাম আহমেদ।
এর আগে গত মাসে কাজী ইনাম বলেছিলেন, প্রতিটি দল ৪ জন করে ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে। লিগ শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। বুধবার তিনি বলেন, ’জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে লিগ শুরু করার আমাদের ইচ্ছে ছিল। কিন্তু মাঠের স্বল্পতা রয়েছে। জাতীয় লিগ এখন শেষ, বিসিএলের প্রথম তিন রাউন্ড শেষ হবে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার বাই চয়েজ ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে ২০ জানুয়ারি। এ অবস্থায় লিগ শুরু হবে ৫ ফেব্রুয়ারি।’
একইসঙ্গে আরো জানান, ‘প্রতিটি ক্লাব ৫ জন করে ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ধরে রাখা ক্রিকেটারদের নাম জমা দিতে হবে। দেখুন, ২০১৬ মৌসুমে দুজন করে ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়ম ছিল। সম্প্রতি আমরা দেখেছি বিপিএলের মত টুর্নামেন্টে ধরে রাখা ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে এটা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা চায় স্কোয়াডের ধারাবাহিকতা যতটা সম্ভব বজায় থাকুক।’
যদিও ‘এ প্লাস’ ও ‘এ’ ক্যাটাগরির কোনো ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে না। এ ক্যাটেগরির ১২ ক্রিকেটারের তালিকা তৈরি করবেন জাতীয় নির্বাচক কমিটি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক প্রাপ্তিতে স্বচ্ছতা এটা করছে সিসিডিএম। কাজী ইনাম বলেন, ‘ক্লাবগুলোর ধরে রাখা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ৫০ ভাগ ড্রাফটের আগেই পরিশোধ করতে হবে। কোনো ক্লাব সেটি না করলে সেই ক্রিকেটারকে তারা ধরে রাখতে পারবে না। ওই ক্রিকেটার ড্রাফটে চলে আসবেন। ড্রাফট থেকে যাদের নেওয়া হবে, তাদেরকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বেধে দেওয়া সমরে মধ্যে ৫০ শতাংশ টাকা দিয়ে দিতে হবে। ২৫ ভাগ দিতে হবে টুর্নামেন্ট চলাকালীন, বাকি ২৫ ভাগ টুর্নামেন্ট শেষ হলে।’
এদিকে বুধবার জানা গেছে, ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ লিগ শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। দ্বিতীয় বিভাগের দলবদল ১০ জানুয়ারি।
Discussion about this post