সব কিছু ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর টেস্ট অভিষেক হয়ে যাবে মার্শাল আইয়ুবের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্রগ্রামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে তিননম্বরে দেখা যাবে তাকে। সেই কঠিনতম চ্যালেঞ্জ কাঁধে নিয়ে টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
কেন এ তরুণকে তিন নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলাতে চাইছেন নির্বাচকরা-তার জবাব জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে গত মাসে। খুলনাতে নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া ৩০ ক্রিকেটারকে দু’দলে ভাগ করে একটি তিনদিনের ম্যাচ হয়েছিল। সেই ম্যাচে নিজ দলের পক্ষে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন মার্শাল। তার সেই ইনিংস চোখে ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ শেন জারগেনসনের। সেটা মানছেন মার্শালও। জানালেন,-‘খুলনায় ওই ম্যাচে ১৫৬ রানের ইনিংসটা আমার ক্যারিয়ারে একটা টার্নিং পয়েন্টই হতে পারে। কারণ আমার ধারণা, এরপরই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার দাবিটা জোরালো হয়। এখন স্বপ্নটা সত্যি হওয়ার অপেক্ষায়।’ তরুণ এ ব্যাটসম্যান অবশ্য স্বীকার করেন, এ বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে তিনি ব্যর্থই হয়েছেন। আটটি ওয়ানডে ইনিংসে মাত্র ১৩৯ রান করেন। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ৩৯। কিন্তু এ ব্যর্থতাকে অতীতই বলছেন মার্শাল। এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাস নিয়েই টেস্ট ক্যাপ পরার অপেক্ষায় তিনি।
এমনিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের পর সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না মার্শাল। তাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিতে শেখান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সতীর্থ আশরাফুল। যিনি এখন ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে ক্রিকেট থেকে বাইরে। আশরাফুলের পরামর্শের কথা জানাতে গিয়ে মার্শাল বলেছেন-‘তিনি খুব সহজ একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন আমাকে। জানান বড় ইনিংস খেলার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার ধৈর্য। আর তার জন্য প্রয়োজন কঠোর অনুশীলন। নিজেকে ফাঁকি দিয়ে লাভ নেই। ব্যাটিংয়ে মনোসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন। তার সেই পরামর্শ কাজে লাগিয়েছি।’
এবার সেইসব পরামর্শ মাঠে কাজে লাগাতে প্রস্তুত মার্শাল আইয়ুব। অভিষেক স্মরনীয় করে রাখতে চান তিনি।
Discussion about this post