পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠ ছেড়ে আসার পর বাংলাদেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আপাতত ছুটিতে। হোটেল-প্যাড-সব ছেড়ে একটুখানি প্রশ্বাস নেওয়ার সময় এটা। কিন্তু এই স্বস্তির সময়েও মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের আলো জ্বলছে, বোর্ডের কক্ষে আলোচনার টেবিল জমজমাট। কারণ সামনে এশিয়া কাপ। আর সেখানকার লড়াইটা কেবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নয়, নিজেকে ঠিকঠাক প্রস্তুত করে নেওয়ার লড়াইও।
সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ শুরু হবে এশিয়া কাপ। আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত। তার আগেই পরিকল্পনা ছিল ভারতের বিপক্ষে এক সংক্ষিপ্ত সিরিজ খেলে বড় মঞ্চে নামা। কিন্তু ভারত সফর বাতিল করল, সূচির ঝটকা এসে পড়ল বিসিবির ভাবনায়।
তারপর থেকেই শুরু নতুন ভাবনার খোঁজ। ভারত নেই? তো কী হয়েছে! বিসিবি এখন ভিন্ন পথে হাঁটার চেষ্টা করছে। যেকোনো মূল্যে এশিয়া কাপের আগে ম্যাচ খেলেই নামতে চায় লিটনরা। এমন সময়, ফ্রেমে উঠেছে দুই নতুন নাম-নেপাল ও নেদারল্যান্ডস।
শনিবার বিকেলে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানালেন, ‘আমরা চাইছি অন্তত একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে। ভারতের জায়গায় আমরা দেখছি নেপাল বা নেদারল্যান্ডসকে পাওয়া যায় কি না। যদি ঘরে না হয়, বাইরে গিয়েও খেলতে রাজি আমরা।’
বড় দলের খুঁজে আর সময় নষ্ট নয়, ছোট দলের বিপক্ষেই হোক, কিন্তু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেন থেমে না থাকে। এমন মনোভাব থেকেই বিসিবি এগিয়ে যাচ্ছে। আলোচনা চলছে, কিছু শিগগিরই চূড়ান্ত হবে বলেই আভাস মিলেছে বোর্ড সূত্রে।
তবে কেবল বিকল্প সিরিজেই সীমাবদ্ধ নয় বিসিবির ভাবনা। যদি বাইরে থেকে কোনো দল না পাওয়া যায়, তাহলে দেশের মধ্যেই আয়োজন করা হতে পারে প্রস্তুতি ম্যাচ-জাতীয় দলের বিপক্ষে ‘এ’ দল, বা সম্ভাব্য দ্বিতীয় সারির দল। তাতে করে শুধু মূল দল নয়, আগামী দিনের ক্রিকেটারদের মাঝেও ছড়াবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপ।
কেবল প্রস্তুতি নয়, বিসিবি চায় ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি আর জাতীয় দলের লক্ষ্যের মধ্যে মিল রাখতে। এখন যেহেতু টি-টোয়েন্টি সময়, তাই হাই পারফরম্যান্স ইউনিটেও থাকবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের চর্চা। সেখান থেকেই গড়ে তোলা হবে ম্যাচ রিদম ও ট্যাকটিক্যাল প্রস্তুতির ভিত্তি।
লিটন দাসও বলেছিলেন, এশিয়া কাপের আগে একটি সিরিজ খেলতে পারলে ভালো হতো। এখন বোর্ড সেই চেষ্টায়ই অটুট। ভারতের জায়গা অন্য কেউ নেবে, না কি নিজেদের মধ্যেই হবে সেই লড়াই-সেটা সময় বলবে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, মাঠে নামার আগে প্রস্তুতির ঘাটতি রাখতে চাইছে না বিসিবি।
Discussion about this post