স্বপ্নের মতো এক ইনিংস খেললেন তিনি! সমালোচনার জবাবটাও দিলেন! সাফল্যের আকাশে উড়লেন নাজমুল হাসান শান্ত। তার স্মরণীয় প্রথম সেঞ্চুরি সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের দাপট আর মুশফিকুর রহিমের অভিজ্ঞতার হাত ধরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ এক জয় বাংলাদেশের।
শুক্রবার চেমসফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩ বল বাকি রেখে ৩ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ হারছে না এটাও নিশ্চিত হয়ে গেলো!
বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে হ্যারি টেক্টরের এক সেঞ্চুরি ও জর্জ ডকরেলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড করে ৩১৯ রান। তারপর জবাব দিতে নেমে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন শান্ত ও হৃদয়। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ৯৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস গড়েন ১২ চার ও ৩ ছক্কাতে। হৃদয়ের ৫৮ বলে ৬৮। তার পথ ধরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ১৫০তম জয়।
নিজের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে দলকে জেতানো শান্ত প্রথমবারের মতো ম্যাচসেরাও। ম্যাচ শেষে শান্ত বলছিলেন, ‘এটা আমার প্রথম সেঞ্চুরি। আমি তাই খুবই খুশি। খুব ভালো লাগছে।’ সঙ্গে হৃদয়ের প্রশংসাও করলেন তিনি, ‘আমার মনে হয়, হৃদয় খুব ভালো ব্যাট করেছে। বিশেষ করে, যে ইন্টেন্ট সে দেখিয়েছে, এটা আমার ব্যাটিংয়ে সহায়তা করেছে। সে খুবই খেলেছে।’
এমনিতে ৩২০ রানের চেয়ে বেশি তাড়া করে বাংলাদেশের জয়ের অভিজ্ঞতা ছিল আর একটি। ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়ায় জিতেছিল দল। এটি ছিল পুরো ৫০ ওভারের ম্যাচ। শান্ত বলছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, রানটা তাড়া করার মতো। কারণ, মাঠের আকার ও উইকেট আগের দিনের চেয়ে বেশ ভালো ছিল। আমাদর স্রেফ প্রয়োজন ছিল ম্যাচটা গভীরে নিয়ে যাওয়া। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। তবে শান্ত ও হৃদয় যেভাবে ব্যাট করেছে, তাতে খুবই সন্তুষ্ট আমি।’
রোববার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। আইরিশদের সঙ্গে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় পৌনে চারটায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আয়ারল্যান্ড: ৪৫ ওভারে ৩১৯/৬ (ডোহেনি ১২, স্টার্লিং ০, বালবার্নি ৪২, টেক্টর ১৪০, টাকার ১৬, ক্যাম্পার ৮, ডকরেল ৭৪, অ্যাডায়ার ২০; হাসান ৯-০-৪৮-২, শরিফুল ৯-০-৮৩-২, ইবাদত ৯-১-৫৬-১, সাকিব ৯-০-৫৭-০, তাইজুল ৭-০-৫৯-১, মিরাজ ২-০-১৩-০)।
বাংলাদেশ: ৪৪.৩ ওভারে ৩২০/৭ (তামিম ৭, লিটন ২১, শান্ত ১১৭, সাকিব ২৬, হৃদয় ৬৮, মুশফিক ৩৬, মিরাজ ১৯, তাইজুল ৯, শরিফুল ৪; লিটল ৯-০-৬৩-১, অ্যাডায়ার ৮.৩-১-৫২-১, হিউম ৬-০-৫৭-১, ম্যাকব্রাইন ৭-০-৪৯-০, ক্যাম্পার ৫-০-৩৭-২, ডকরেল ৯-০-৫৮-২)।
ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের ১-০তে এগিয়ে।
Discussion about this post