ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণ টিকা দেওয়া চলছে বাংলাদেশে। অনেকেই ব্যাক্তি উদ্যেগে নিচ্ছেন ভ্যাকসিন। ঢাকা টেস্ট শেষ হলে ক্রিকেটাররাও এই তালিকায় নাম লেখাবেন। নিউজিল্যান্ড সফরের আগেই মুশফিকুর রহিম-তামিম ইকবালরা পেয়ে যাবেন টিকা। এমনই তথ্য দিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপরাশেন্স চেয়ারম্যান্স আকরাম খান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপরাশেন্স চেয়ারম্যান্স আকরাম খান, বলেন কোন ঝুঁকি নিতে চায় না বোর্ড। এখনই নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে মিরপুরে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড আমাদের দুইটা অপশন দিয়েছিল। আমরা ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে বসে অপশন বি বেছে নিয়েছি। এই জন্য ওরা খেলাটা সাতদিন পিছিয়েছে। খুব সম্ভবত আমরা ২৪ তারিখ ওখানে যাচ্ছি।’
চলুন দেখে নেই গণমাধ্যমের সামনে কী বললেন আকরাম খান।
ক্রিকেটাররা কবে পাচ্ছেন করোনা ভ্যাকসিন…
ইনশাআল্লাহ আপনারা দেখেছেন এই কঠিন সময়ে আমরা দুইটা টুর্নামেন্ট করেছি। একটা হলো বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ আরেকটা হলো বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপ। আল্লাহর রহমতে খুবই সফলভাবে করেছি। আমরা লিমিটের মধ্যে রেখেছি এগুলো। কিন্তু ক্লাব ক্রিকেটটা আমাদের জন্য একটু কঠিন হবে। বিভিন্ন ভেন্যুতে খেলা হবে মাঠও লাগবে প্রচুর। তখনই বোর্ড প্রেসিডেন্ট আমাদের বলেছিলেন আমরা চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি ভ্যাাকসিন আসলে আমরা ওটা দিয়ে দেবো। রিস্কে থাকতে চাই না।
হয়তো বা এখন আমরা শুধু জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের দিচ্ছি, যারা যাবে। এরপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকিদের দিয়ে আমরা ঘরোয়া টুর্নামেন্ট শুরু করবো। ওই ধরণের ধারণা ও আলাপ করেছি। বৃষ্টির ও আমাদের সিজনের একটা ব্যাপার আছে। আমরা চেষ্টা করবো যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আমরা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
নিউজিল্যান্ড সফরে আইসোলেশনের মানসিক চাপ কাটাতে উদ্যোগ…
আমরা তো ইনফ্যাক্ট আমাদের খেলোয়াড়রা গিয়ে নিয়মিত থাকবে। এই কোভিড সিচুয়েশনে আইসোলেশনে থাকাটা মানসিকভাবে খুব কঠিন। এক তো খেলার টেনশন তার মধ্যে আবার এমন মানসিক চাপ থাকলে। সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করে নিউজিল্যান্ডকে বলব যাতে প্লেয়াররা আরেকটু বেশিদিন অনুশীলন করতে পারে আরেকটু বাড়তি সুযোগ সুবিধা পায়।
ওরা আমাদের দুটা অপশন দিয়েছিল। আমরা ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে বসে অপশন বি বেছে নিয়েছি। এই জন্য ওরা খেলাটা। মোস্ট প্রভাবলি আমরা ২৪ তারিখ যাচ্ছি।
সফরের আগে বাংলাদেশে কি ক্যাম্প হবে?
বাংলাদেশে ক্যাম্পের সম্ভাবনা অনেক কম। সবসময় কোয়ারেন্টাইন বা বায়ু বাবলে রাখা এটা খেলোয়াড়দের জন্য খুব কঠিন। এই সিরিজ শেষ হলে ওদের ছুটি দিবো। এরপর হয়তো এখান থেকে নিয়ে ওখানে ট্রেনিং দিবো। ওর একশ দিনের কন্ট্রাক্ট ছিল। সেটা কতদিন বাকি আছে.. ওকে আমরা ওখানে পাচ্ছি। এরপর আমরা স্পিন কোচ দুয়েক জায়গায় কথা বলছি। আমরা ভালো কোয়ালেটি পেলে নিয়ে নেবো।
ঘরোয়া ক্রিকেট কবে?
আমাদের শুধু বাংলাদেশ দল নিয়ে চিন্তা করি না। আমাদের অনেক ক্রিকেটার আছে, তাদের একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট খেলোয়াড়রা যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটা মাথায় রাখেন। আমরা চেষ্টা করছি শুধু এনসিএল না, সব ক্লাব ক্রিকেটই শুরু করার। যেহেতু আমরা টেস্ট খেলবো আমাদের লঙ্গার ভার্সন অপরচিুনিটি থাকবে খেলার।
প্রসঙ্গ ঢাকা টেস্ট..
টসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জানেন যে ঢাকার উইকট পরের দিকে একটু…। এখন বলাটা কঠিন। যেহেতু ওদের মাত্র পাঁচটা উইকেট গেছে। এখন বলাটা দ্রুত হয়ে যায়।
সৌম্য ১৮ জনের বাইরে ছিলেন। তারপর হঠাৎ ডাক পেয়ে একাদশে। কেন?
এই কথাটা তো এখন চূড়ান্ত। কাগজে কলমে হয়তো দুই একদিন সময় লাগবে। কিন্তু সে কনফার্ম। আজকে বোর্ড ও আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা খুব খুশি ওর মতো একজন খেলোয়াড় সিলেক্টর হয়েছে। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও শক্তিশালী করবে।
Discussion about this post