ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বয়স মাত্র ২৮। সন্দেহ নেই এখনই একজন ক্রিকেটারের নিজেকে মেলে ধরার সেরা সময়। কিন্তু এখনই বিদায় বলে দিলেন মোহাম্মদ আমির। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন পাকিস্তানের এই পেস বোলার। এর আগে টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েও চমকে দিয়েছিলেন তিনি!
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টি-টুয়েন্টি সিরিজের দল থেকেও বাদ পড়তেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির। সবশেষ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে এবং গলে গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলেন ফাইনাল। টুর্নামেন্টে নেন ১১ উইকেট
বিদায়ের আগে এক হাত নিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কর্তাদের। তাদের সঙ্গে আর কাজ করতে পারবেন না তিনি। এক ভিডিও বার্তায় আমির বলেন , ‘আমি মনে করি না এ ম্যানেজমেন্টের অধীনে ক্রিকেট খেলতে পারবো। এ কারণেই এখনকার মতো জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট ছেড়ে দিচ্ছি। মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি আমি। আর পারছি না। সেই ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যথেষ্ট দেখেছি। আমাকে বারবার শুনতে হয়েছে যে পিসিবি আমার পেছনে অনেক বিনিয়োগ করেছে। আমি শহীদ আফ্রিদির প্রতি কৃতজ্ঞ, যখন নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরলাম তখন আমাকে সুযোগ দিয়েছেন তিনি।’
পাকিস্তানের হয়ে খেলার আগ্রহ হারিয়েছেন আমির। জানান, ‘দেখুন, সবাই তার দেশের জন্য খেলতে চায়। অথচ ওরা বলছে আমি নাকি বিশ্বজুড়ে অন্য লিগগুলো খেলার জন্য নাকি টেস্ট ক্রিকেট ছেড়েছি। বিপিএল দিয়ে ফিরেছি। যদি লিগে খেলার জন্য মরিয়া থাকতাম তাহলে আমি বলতে পারতাম যে পাকিস্তানের হয়ে আর খেলতে চাই না।’
এ অবস্থায় পাকিস্তানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবেন আমির।
আমিরের ক্যারিয়ারটা বেশ আলোচিত। ২০০৯ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমিরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু। কিন্তু বছর না যেতেই লর্ডসে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হন। পাঁচ বছরের সেই নিধোজ্ঞা শেষে ২০১৫ সালে মুক্তি পান এ পেসার।
এরপর নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। কিন্তু সময় না যেতেই টেস্ট ক্রিকেটকে গুডবাই বলেন। জানান সীমিত ওভারে ক্রিকেটে দিতে চান মন। ৩৬ টেস্টে ১১৯ উইকেটে থামেন সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে।
৬১ ওয়ানডেতে ৮১ ও ৫০ টি-টুয়েন্টিতে ৫৯ উইকেট নিয়েছেন আমির।
Discussion about this post