ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফাইনাল ঠিক ফাইনালের আমেজ পেলো না! করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই গ্যালারিতে ছিল না দর্শক। আর শেষ ওভারে খেলা গড়ালেও সেই রোমাঞ্চ থাকল কোথায়? বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ অনায়াসেই জিতে নিয়েছে জেমকন খুলনা।
শুক্রবারে ফাইনালে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে জেমকন খুলনা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা।
ছুটির দিনে বিকেলে শুরু এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরিতে খুলনা ২০ ওভারে ৭ উইকেটে তুলে ১৫৫ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৮ বলে ৭০ রানের ইনিংসেই দলকে এনে দেন লড়াকু পুঁজি। শেষ ওভার পর্যন্ত দুলতে থাকা ম্যাচে চট্টগ্রাম থমকে যায় ১৫০ রানে।
জবাবে রাতের কুয়াশা মাখা উইকেটে চট্টগ্রাম ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৫০।
লক্ষ্যটা অবশ্য আকাশ ছোঁয়া ছিল না! তারপরও সমীকরণটা ঠিক মিলল না। ব্যাটসম্যানরা উইকেটে থিতু হয়ে একের পর এক ফিরে আসলে কী লড়াই জমে। যা একটু লড়ে গেলেন সৈকত আলি। তার হাফসেঞ্চুরিতে (৪৫ বলে ৫৩) জয়ের পথে ছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু শেষদিকে এসে অন্য ব্যাটসম্যানরা ঠিক পারলেন না। প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে অসহায়।
খেলা শেষ ওভারে গড়ালেও আক্ষেপ থাকল ৫ রানের। আগের ম্যাচ ৫ উইকেট পেলেও শুক্রবার ঝড় তুলতে পারলেন না মাশরাফি বিন মতুর্জা। মাশরাফি ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে পেলেন না উইকেট। ২ উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজেকে উজাড় করে দিলেন। এই টুর্নামেন্টে একটা হাফসেঞ্চুরি না পেলেও এদিন খেললেন দেখার মতো এক ইনিংস। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস উপহার দিলেন রিয়াদ।
শেষ অব্দি মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ৪৮ বলে ৭০ রানে। এটিই টি-টুয়েন্টিতে এই ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ৬৪ রান।
টস জিতে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা এদিন সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই খেলল। শ্বশুর মারা গেছে এই ক্রিকেটারের। তিনি চলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পান আরিফুল হক। কিন্তু ২১ রান করতে তিনি খেলেন ২৩ বল। জাকির হাসান ২০ বলে ২৫। ১২ বলে ১৫ রান শুভাগতের।
ব্যাটসম্যানদের এমন অবদানেই ট্রফি জয়ের পুঁজি পায় খুলনা। সত্যিকার অর্থেই মাহমুদউল্লাহর দলই যোগ্য শিরোপার দাবিদার। ট্রফিটা পেলো তারাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৫৫/৭ (জহুরুল ০, জাকির ২৫, ইমরুল ৮, আরিফুল ২১, মাহমুদউল্লাহ ৭০*, শুভাগত ১৫, শামীম ০, মাশরাফি ৫, শহিদুল ১*; নাহিদুল ৩-০-১৯-২, শরিফুল ৪-০-৩৩-২, রকিবুল ৪-০-১৯-০, মোসাদ্দেক ২-০-২০-১, মুস্তাফিজ ৪-০-২৪-১, সৌম্য ৩-০-৩৯-০)।
গাজী গ্রুপ চট্টগাম: ২০ ওভারে ১৫০/৬ (লিটন ২৩, সৌম্য ১২, মিঠুন ৭, সৈকত ৫৩, শামসুর ২৩, মোসাদ্দেক ১৯, নাহিদুল ৬*, নাদিফ ১*; মাশরাফি ৪-০-৪০-০, শুভাগত ২-০-৮-১, আল আমিন ৪-০-১৯-১, হাসান ৪-০-৩০-১, আরিফুল ২-০-১৮-০, শহিদুল ৪-০-৩৩-২)।
ফল: জেমকন খুলনা ৫ রানে জয়ী।
ফাইনালসেরা: মাহমুদউল্লাহ।
টুর্নামেন্ট সেরা: মুস্তাফিজুর রহমান।
Discussion about this post