ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসানের সময় উপযোগি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাপুয়া নিউ গিনির সামনে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছে বাংলাদেশ।
ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে বৃহস্পতিবার আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৮ বলে ৫০ রান করেন। এছাড়া সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৪৬ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করেন লিটন। শেষ মুহূর্তে ৬ বলে ১৯ রান করেন সাইফউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা লাগে বাংলাদেশ শিবিরে। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলে স্কোর বোর্ডে কোনো রান তোলার আগেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাঈম শেখ বিদায় নেন শুন্য রানে। এর প্রতিরোধের দায়িত্ব নেন আরেক ওপেনার লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৫০ রানের পার্টনারশিপ। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ পায় ৪৫ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করে লিটন বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। লিটন এদিন হাঁকান একটি করে চার-ছক্কা।
আগের ম্যাচে আট নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম এই ম্যাচে নেমেছিলেন চার নম্বরে। তবে যথারীতি ব্যর্থ ছিলেন। ৮ বলে ৫ রান করে তিনি বিদায় নেন তিনি।
মুশফিক ফিরলেও ঝড় তোলেন রিয়াদ। তার সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৬ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
পাপুয়া নিউগিনির বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ২৮ বলের মোকাবেলায় ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক পূর্ণ করেন রিয়াদ, হাঁকান ৩টি করে চার-ছক্কা। আশরাফুলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েই অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয় ২৭ বলে অর্ধশতক হাঁকানো রিয়াদকে।
শেষদিকে সাজঘরে ফেরা আফিফ ১৪ বলে ২১ রান করেন, তিনটি চারের সহায়তায়। তবে ঝড় তোলেন সাইফউদ্দিন। ৬ বলে ১৯ রান করেন তিনি (একটি চার ও ২টি ছক্কা)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮১ রান।
পাপুয়া নিউগিনির হয়ে কাবুয়া মরেয়া, ডেমিয়েন রাভু ও অধিনায়ক আসাদ ভালা দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
Discussion about this post