ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রিয় তারকা এক বছর থাকবেন মাঠের বাইরে। ক্রিকেট ভক্তরা কিছুতেই মানতে পারছেন না। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলছেন তিনি সাকিবের এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আগাম কিছুই জানতেন না।
কিন্তু বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এই কথাটি বিশ্বাস করতে নারাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকটি টুইটে অন্য ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। রাজী হয়নি এ তারকা। অবশ্য তিনি ভুল করেন ব্যাপারটি আইসিসির দূর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানিয়েছে। এ কারণে মঙ্গলবার এ অলরাউন্ডার সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন দুই বছরের। এরমধ্যে এক বছর রয়েছে স্থগিতাদেশ নিষেধাজ্ঞা। মানে ১ বছর পরই ফিরতে পারবেন মাঠে।
এ মাসেই ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেন সাকিব। তখনই বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার। তারই ধারাবাহিকতায় এই নিষেধাজ্ঞা কি না বুঝতে পারছেন না সাবের। ২২ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অলরাউন্ডের ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে’ বলে পাপন যে উক্তি করেছিলেন, সেটির ভিডিও শেয়ার করে সাবের হোসেন চৌধুরী ‘মিথ্যাবাদী’ অ্যাখ্যা দেন তাকে। লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় বিসিবি সবকিছুই জানতো আর পাপন সাহেব যে বলেছেন, তার কোনো ধারণাই ছিল না, কথাটা সত্য নয়। দুঃখ লাগলেও এটা বলতেই হচ্ছে। ২২ অক্টোবরের যে ভিডিও ক্লিপটা, তাতে মনে হচ্ছিল পাপন সাহেব আইসিসির ঘোষণার জন্য অধৈর্য হয়ে অপেক্ষা করছিলেন।’
বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের আরেক টুইটে লেখেন, ‘ভণ্ডামি, সর্বোৎকৃষ্ট/নিকৃষ্টের দ্বৈত চরিত্র। বিসিবি আইসিসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমান আবেগই দেখিয়েছে। কিন্তু সংস্থাগত ম্যা চফিক্সিং দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করে, ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটাকে আরও উৎসাহিত করছে বিসিবি। লজ্জাজনক।’
সাবের হোসেন চৌধুরী আরেক টুইটে লিখেছেন, ‘কেউ যখন অপরাধ করে, সুবিচার প্রাপ্য। বিসিবি কমপক্ষে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করতে পারতো। দুঃখ লাগছে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই জায়গায় সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি। এখন অযথা মায়াকান্না দেখাচ্ছে।’
Discussion about this post