সফরে প্রথমে নির্ধারিত ছিল ওয়ানডে সিরিজ। কিন্তু এখন সেটি পাল্টে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি লড়াই। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দলই রাজি হয়েছে ফরম্যাট বদলে সিরিজ খেলতে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই পাকিস্তান যাওয়ার কথা টাইগারদের।
কিন্তু সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এই সিরিজের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল। যদিও গতকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত, আর তাতেই আবারও সিরিজ আয়োজন নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, খেলোয়াড়েরা প্রস্তুতি নিচ্ছে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে। রোববার গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘সিরিজটি হবে কি না, সেটি আমাদের হাতে নেই। এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, কারণ আমাদের সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ রয়েছে। সেই লক্ষ্যেই অনুশীলন চলছে।’
সালাউদ্দিন জানান, কিছুটা বিরতি পেয়ে এবার স্কিল উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও টি-টোয়েন্টি উপযোগী শটসের ওপর গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে পরিকল্পনা, ‘আমরা খুব কমই সময় পাই স্কিল নিয়ে কাজ করার। এখন যেহেতু একটু সময় পেয়েছি, তাই সেই দিকগুলোতে ফোকাস করছি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যে ধরনের উইকেটে খেলতে হয়, সেখানে কীভাবে খেলতে হবে তা নিয়েই চলছে প্রস্তুতি।’
মাঠের লড়াই ফয়সালাবাদ ও লাহোরে আগামী ২৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত চলবে। সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় অনুসারে রাত নয়টায়। ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে ২৫ ও ২৭ মে প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি। পরের তিনটি ম্যাচ ৩০ মে, ১ জুন ও ৩ জুন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
Discussion about this post