সম্পর্কের অবনমনের শুরুটা বেশ আগের। সেই মোস্তফা কামালের যুগ থেকেই। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য বিসিবি সভাপতি থাকার সময় মোস্তফা কামাল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের পরিকল্পনা ঠিক করেছিলেন। আইসিসির শীর্ষ পদে পাকিস্তানের সমর্থন পাওয়ার আশায় তিনি এই সফরের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে একটু বেশি আগ্রহী ছিলেন বলে-মিডিয়ার বিশ্বাস। পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ নয় জেনেও এই সফরের জন্য তার আগ্রহটা মাত্রা ছাড়িয়েছিল! তবে শেষমেষ বাংলাদেশের আদালত ক্রিকেট দলের এই সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে; তাতেই ভেস্তে যায় মোস্তফা কামালের ‘পাকিস্তান পরিকল্পনা’। সেই সফরে আর যায়নি বাংলাদেশ। সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান মহাক্ষ্যাপা। প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দেয়-বিপিএলের জন্যও তারা কোন পাকিস্তানিকে খেলার ছাড়পত্র দেবে না। দ্বিতীয় বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ওপর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই থেকে বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা অনুপস্থিত।
-এবারের প্রিমিয়ার ক্রিকেটেও কি তাহলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দেখা যাবে না?
বিসিবিতে কাল এই প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান পাপন বললেন-‘গতবার কিন্তু আমরা ওদের আসতে না করিনি। শেষ মুহূর্ত ওরাই ছাড়পত্র দেয়নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ওদের প্লেয়ারদের বিপিএল আসতে দেয়নি, ছাড়পত্র দেয়নি বাংলাদেশে খেলার জন্য। এখনও সেটা বহাল আছে, আমরা ওদের ছাড়াই খেলেছি। এখনো ওই মেন্টালিটিতে আছি যে পাকিস্তানের প্লেয়ারদের ছাড়াই খেলবো। এখন যদি পাকিস্তান সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং ওখান থেকে কেউ যদি খেলার জন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তখন এই পরিস্থিতি সামনে আসবে। পাকিস্তানের প্লেয়ার ছাড়াই খেলেছি বিপিএল, প্রিমিয়ার লিগও তাদের ছাড়াই খেলবো কারণ, পাকিস্তান তাদের প্লেয়ারদের ছাড়পত্র দেয়নি। যদি দেয় তখন দেখা যাবে। যদি আমরা আগেভাগে বলি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলবে আর তখন ওরা দিল না তাহলে কি অবস্থা হবে বলেন তো?’
নাজমুল হাসান একটা বিষয় অবশ্য পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন-‘প্রিমিয়ার লিগে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহনের বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে কোন কথাবার্তা বা আলোচনা করার ইচ্ছে এবং আগ্রহ কোনটাই তার নেই।’
তাহলে কি বুঝলেন?
বিপিএলের পর এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটেও পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা থাকছে না!
Discussion about this post