ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততে জিততেও শেষ পর্যন্তই হেরেই যায় বাংলাদেশ। তারপরও দলটির এখনও রয়েছে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা। সেটা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এবারের বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প নেই টাইগারদের। তার আগের দিন অ্যাডিলেডে টেকনিক্যাল কনসাল্টটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম কথাটা সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পাকিস্তানকে হারাতে পারব। কিন্তু সেমিফাইনালে যাওয়া আমাদের হাতে নেই।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাল অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে এটাই সাকিবদের শেষ ম্যাচ। আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তুমুল লড়াই করে বৃষ্টি-আইনে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসার আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে দুবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়ে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে শ্রীধরন শ্রীরাম আশা করছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো একটি ম্যাচ হবে, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তান খুব ভালো দল। নিউজিল্যান্ডে তাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই আমাদের সুযোগ ছিল। তারা জানে আমাদের শক্তির জায়গা, আমরাও তাদেরটা জানি। আগামীকাল একটা ভালো লড়াই হবে।’
ভারতের বিপক্ষে হারকে শিক্ষা হিসেবেই দেখছেন শ্রীরাম, ‘তারা বুঝতে পেরেছে কত বড় সুযোগ হারিয়েছে। এটা তাদের জন্য অনেক বড় শিক্ষা। দলকে এটা অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে, ভারতের মতো দলকে চ্যালেঞ্জ জানানো আর এত কাছে আসা, আমরা খুব বেশি দূরে নেই। খেলা শুরু হওয়ার আগে যদি কেউ বলত যে আমরা ভারতের কাছে ৫ রানে হারব, তাহলে যে কেউ হয়তো তা লুফে নিত। আমরা নিজেদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলাম যে ভারতকে হারাতে পারতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত আমরা পারিনি। তবে এতটা কাছাকাছি যেতে পেরে ছেলেরা অনেক আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিনশেষে হার তো মাত্র ৫ রানের… শেষটুকু ঠিকঠাক করত না পেরে ড্রেসিং রুমে সবাই হতাশ ছিল অবশ্যই এবং তারা উপলব্ধি করেছে, কতটা সুবর্ণ সুযোগ তারা হাতছাড়া করেছে। তবে দলের জন্য দারুণ শিক্ষণীয় এটি এবং দলকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে যে, ভারতের মতো একটি দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যদি এত কাছাকাছি যাওয়া যায়, তাহলে আমরা খুব বেশি দূরে নেই।’
বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক কিংবা সার্বিক, সব রেকর্ডেই যোজন যোজন এগিয়ে পাকিস্তান। দুই দলের ১৭ ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ১৫টি। বাংলাদেশের দুটি জয় সেই ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। শ্রীরাম তবু আশার তরী বেয়ে চলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা বিশ্বাস করি যে পাকিস্তানকে হারাতে পারি। তবে সেমি-ফাইনালে খেলতে পারা আমাদের হাতে নেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে।’
Discussion about this post