তার ব্যাটে রান নেই। দলও ভাল খেলতে পারছে না। সব মিলিয়ে চাপে নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে এবার অধিনায়কত্বকে গুডবাই জানানোর কথা ভাবছেন জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। জানা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি সিরিজ শেষেই নাকি অধিনায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।
এরইমধ্যে শান্ত নাকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন পরিচালক বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি। তবে তিনি সরে গেলে নেতৃত্ব দেওয়া হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। শান্ত নিজেই নাকি তার নাম প্রস্তাব করেছেন!
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন সংস্করণের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার শান্ত। সাকিব আল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। ২০২৪ বিশ্বকাপসহ ২৪ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে ১০টি ম্যাচে জয় লাভ করেন। যদিও এই সময়ে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর ব্যাটিং গড় মাত্র ১৮.৭৬। অধিনায়কত্ব ছাড়া গড় ২৬.৯৫।
টেস্টেও একই অবস্থায় তার। অধিনায়কত্ব ছাড়া শান্তর ব্যাটিং গড় ২৯.৮৩। অধিনায়ক হয়ে ২৫.৭৬। একমাত্র ওয়ানডেতে পারফরম্যান্সের গ্রাফ ভাল। ওয়ানডেতে ৯টি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় আর হার ছয়টিতে। অধিনায়ক থাকাকালীন ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৫২.০০।না থাকা অবস্থায় ২৯.৪৪।
এদিকে শান্ত হয়ে কথা বললেন বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি বলেন, ‘তার (শান্ত) মতো একজন খেলোয়াড় আমাদেরই কারণে অধিনায়কত্ব করতে পারছে না। আমাদের মতো দেশে অধিনায়ক হওয়া মানে সব সময় চাপে থাকতে হবে, ভালো পারফরম্যান্স হবে না, তাকে নিয়ে আমরা যে পরিমাণ সমালোচনা করি, যেভাবে সমালোচনা করি, তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে শান্তর মতো তরুণ অধিনায়কের পাশে বিসিবির থাকা উচিত। এক দিনেই স্টিভ ওয়াহ, হঠাৎ করেই ইমরান খান-ধোনি হওয়া যায় না। আমাদের সংস্কৃতিতে অধিনায়কত্ব গড়ে ওঠে না। আমরা শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে অনেক সময় বিনিয়োগ করেছি। কোনো সমস্যা হলে আলোচনা করে সমাধানের পথে হাঁটতে চায় বোর্ড।’
Discussion about this post