ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
১৪ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন সাদমান ইসলাম। হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ইনিংস বড় করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এ ওপেনার। কিন্তু এক পর্যায়ে বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এ তরুণ নেননি রিভিউ। প্রশ্নটা তাই বুধবার শেষ বিকেলে সবার মনেই ছিল। পরে অবশ্য সাদমান নিজেই জানিয়েছেন, নিশ্চিত আউট মনে হওয়ায় রিভিউ নেননি।
বুধবার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে প্রায় চার ঘণ্টা একটা প্রান্ত আগলে রাখেন সাদমান।কিন্তু বড় গড়বড় করে ফেলেন রিভিউয়ের ব্যাপারে। ৫৯ রানে বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে সাদমানকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে খানিকক্ষণ কথা বলে সাদমান রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান ড্রেসিং রুমে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে।
কোভিডকালিন সময়ে ইনিংসে যেকোন দল রিভিউ নিতে পারবে তিনটি করে। কিন্তু তারপরও সাদমান সে সুযোগ নেননি। প্র্রথম দিনের খেলা শেষে সাদমান জানালেন, তার মনে সংশয়ই জাগেনি, ‘রিভিউ অবশ্যই নেওয়া উচিত ছিল। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছিল, ইন-লাইন ছিল। উইকেটে হিট করবে। এজন্য রিভিউ নেইনি। হতাশ তো বটেই। তবে এটা ম্যাচেরই অংশ, মেনে নিতে হবে।’
রিভিউ নেওয়া বা না নেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময়ই বড় একটা ভূমিকা থাকে অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানের। সাদমানের সঙ্গে তখন উইকেটে ছিলেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। তাই ব্যাপারটি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে নিজের ভাবনাকেই তিনি সাদমান দিচ্ছেন গুরুত্ব, ‘মুশফিক ভাই জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘কি হয়েছে?’ আমি তাকে বলেছিলাম, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে যে লাইনে আছে, উইকেটে লাগবে।’ এজন্য আমি আর নেইনি রিভিউ।’
সাদমান ফেরার পর কিছুটা চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। যা পরে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মুশফিক। তবে ষষ্ঠ উইকেটে সাকিব-লিটন দারুণ খেলে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফেরান। বৃহস্পতিবার তাদের ওপরই আসলে নির্ভর করছে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কত রান করতে পারে বাংলাদেশ।
Discussion about this post