করোনার কারণে কিছুতেই স্বস্তি নেই। নতুন ধরণ ওমিক্রন আরেক দুশ্চিন্তার কারণ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টের সিরিজ খেলতে গিয়ে এখন বিপাকে মুমিনুল হকরা। করোনার কারণে এই সিরিজের আকাশেও কালো মেঘ। এই সিরিজটি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। নিউজিল্যান্ড সরকারের কড়াকাড়ির কারণে শেষ পর্যন্ত এই সফর শেষ না করেই দেশে ফিরে আসতে পারে বাংলাদেশ টেস্ট দল।
এ অবস্থায় নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ডাকে এক জরুরি সভা। যেখানে ছিলেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। সভা শেষে তিনি জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ড সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হবে ২১ ডিসেম্বরের পর। তবে এখন পর্যন্ত খবর-নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাতিলের সম্ভাবনা নেই।
শনিবার বোর্ড সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সিরিজ বাতিলের কোনো সম্ভাবনা নেই। ২১ তারিখের পর অনুশীলনে নামার কথা রয়েছে আমাদের। সেটি যদি না হয়, তখন আমরা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তখন একটা সিদ্ধান্ত আসবে। কারণ এরপর ওদের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ রয়েছে। তবে এখন সিরিজ বাতিলের কোনো সুযোগ নেই।’
এমনিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজের শুরু থেকেই জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও স্টাফরা করোনায় কাবু। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথকে আলাদা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ দল যে ফ্লাইটে নিউজিল্যান্ড গিয়েছে সেই ফ্লাইটে একজনের কোভিড পজিটিভ হয়। তার আশেপাশে থাকা দলের নয়জনের কোয়ারেন্টাইনের সময় বাড়ানো হয়েছে। মুমিনুল হক, ইয়াসির রাব্বী, নুরুল হাসান সোহান, ফজলে মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ আলাদা আছেন।
এ অবস্থায় হেরাথের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন না ডেলটা তার ওপর নির্ভর করবে সিরিজটির ভবিষ্যৎ। গত ৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালের প্রথম দিন মাউন্ট মঙ্গানুইতে শুরু বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্ট। ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
Discussion about this post