ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গত নিউজিল্যান্ড সফরটা দুঃস্বপ্নের অন্য নাম হয়েই আছে। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ, লেখা হয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। ভাগ্য ভাল, নিউজিল্যান্ড সফরে একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা পায় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। শুক্রবার জুমার দিনে তারা সবাই যাচ্ছিলেন ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে। সেখানেই মসজিদে মুসুল্লিদের হত্যা করে জগন্যতম ঘটনার জন্ম দেন ব্রেন্টন টারান্ট নামের এক সন্ত্রাসী।
তামিম ইকবালরা সেই হত্যাযজ্ঞ খুব কাছ থেকেই দেখেছেন। আরেকটু হলে তো নিজেরাই পড়তে যাচ্ছিলেন বিপদে। এবারও সেই স্মৃতিমেনে পড়েছে তাদের। ক্রাইস্টচার্চে সেই ঘটনা নিয়ে বুধবার বলছিলেন, ‘আমাদের সবার জন্য এটা কঠিন সময় ছিল। বিশেষত যারা তাদের পরিবারের সদসদ্যের হারিয়েছে তাদের জন্য। আমরা কেবল ওদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। কিন্তু আমাদের সামনে তাকাতে হবে। এটি সম্ভবত আমার চতুর্থ কিংবা পঞ্চমবার নিউজিল্যান্ড সফর। এটা খুব সুন্দর দেশ, মানুষগুলোও দারুণ।’
ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডের্ন যেমন করে পুরো পরিস্থিতি সামলেছেন, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন-তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন তামিম। তামিমের ইচ্ছে আছে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করারও।
তামিম এদিন কিউই গণমাধ্যমের সঙ্গে বলেন, ‘এখানকার মানুষরা ভালো। এখানকার প্রধানমন্ত্রীর কথাও বলতে চাই, ওই কঠিন সময় তিনি যেভাবে সামলেছেন। বাংলাদেশের সবাই প্রশংশা করেছে। তিনি দারুণ কাজ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে কখনও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হলে আমি ধন্যবাদ জানাব তাকে।’
বুধবার ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে কুইন্সটাউনে চলে গেল দল। ৫০ মিনিটের ভ্রমণ শেষে দল এখন নতুন ঠিকানায়। ১১ মার্চ থেকে কুইন্সটাউনে চলবে টাইগারদের অনুশীলন। মোট ৫ দিনের ক্যাম্প। ২০ মার্চ ওয়ানডে সিরিজ শুরু। কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের পরের দুই ওয়ানডে ২৩ ও ২৬ মার্চ। ২৮ মার্চ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিরিজের শেষ দুটি টি-টুয়েন্টি অনুষ্ঠিত ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল।
Discussion about this post