ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সব সময় নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াটা একটু কঠিনই হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। তবে এবার সেটা ভালোভাবেই নাকি করতে পেরেছে টিম টাইগার্স। শুধু তাই নয় সফরকারীরা কিউই কন্ডিশন দারুণ উপভোগও করছে। এমনটাই জানিয়েছেন দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বাশার বলেন, ‘আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। এই সময়টা খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছেন সবাই এবং নিউ জিল্যান্ডের সুযোগ-সুবিধা খুব চমৎকার।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত সেখানে টাইগাররা পার করেছে ১১ দিন। এরমধ্যে ৭ দিন আইসোলেশন কাটিয়ে তামিমরা সুযোগ পাচ্ছেন ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করার।সবকিছু মিলিয়ে সিরিজ শুরুর আগে দীর্ঘদিন নিউ জিল্যান্ডে থাকা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াকে ভালোভাবেই দেখছেন হাবিবুল,‘আমার মনে হয় আগে এসে আমরা যে কষ্টটুকু করছি সেটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারছি। আমাদের এটা খুব ভালো ভাবেই কাজে লাগবে এই সিরিজে। কারণ এখানকার কন্ডিশন আমাদের কন্ডিশন থেকে একেবারেই ভিন্ন। হয়তো ডানেডিনে ঠাণ্ডা একটু বেশি থাকবে। উইকেট কিন্তু এরকমই থাকবে। আমার মনে হয় একটু আগে এসে এটা খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারছি।’
নিউজিল্যান্ডে সব মিলিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। এরপরই ক্রিকেটাররা চলাফেরা করতে পারবে নিউ জিল্যান্ডের সাধারণ জনগণের মতো। থাকবে না কোনো ভিন্ন নীতি। নেই বায়োবাবলের ঝক্কি-ঝামেলা। এ ব্যাপারে বাশার বলেন, ‘১৪ দিন পরেই কিন্তু আমরা মুক্ত। স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবো যে কোন জায়গায় যেতে পারবো। খেলার বাইরে সময়টা খুব ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারবো। এটা কিন্তু এক দিক থেকে ভালো, আপনি ১৪ দিন কষ্ট করছেন তারপর কিন্তু আপনাকে আর বাবলের মধ্যে থাকতে হচ্ছে না।’
আগামী ২০ মার্চ ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে মাঠের লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর আরও দুই ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে সফরকারীরা। এজন্য বেশ আগেভাগে সেখানে পা রেখেছেন তামিম ইকবালরা।
Discussion about this post