দেশের ক্রিকেটাঙ্গন কোথায় যেন এলোমেলো অবস্থায়। বিশেষ করে একে অন্যের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। এবার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও মোহাম্মদ আশরাফুল আলোচনায়। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক কঠিন ভাষাতে আক্রমণ করে এখন তোপের মুখে। একে অন্যের দিকে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করছেন।
বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আশরাফুলকে দেশদ্রোহী’ ও ‘ফিক্সার’ বলে আখ্যা দেন নান্নু। তারপরই ফেসবুক লাইভে এসে তার প্রতিবাদ জানান আশরাফুল। অবশ্য আশরাফুলের করা এক মন্তব্যকে ঘিরে আলোচনার শুরু। যেখানে আশরাফুল চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষৎকারে জানান, জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের কাজে মেয়াদ ৩ থেকে ৪ বছর হলে ভালো হয়।
তারই জবাবে নান্নু উত্তেজিত বলেন, ‘আশরাফুলের এই কথার সাথে আমি একটা জিনিস যুক্ত করতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার একজন প্রধান নির্বাচক কত বছর কাজ করেছে ওর বোধহয় ধারণা নেই। প্রায় ৯ থেকে ১২ বছর একটানা কাজ করেছে। অস্ট্রেলিয়া কি ক্রিকেট থেকে পিছিয়ে গিয়েছে? ওর তো বোঝার কথা না। যেসব খেলোয়াড় দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়, ওদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ আশা করা কঠিন।’
রোববার রাতেই নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন আশরাফুল। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ২০১৩ সালে নিষিদ্ধ হওয়া আশরাফুল এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে ক্রিকেটে ফেরা অ্যাশ বলেন, ‘আমি যদি প্রকাশ্যে স্বীকার না করতাম তাহলে হয়ত ভিন্ন চিত্র হত। তাহলে এক বছরের শাস্তি হত, হয়ত এখনও জাতীয় দলে খেলতাম। আপনাদের কাছে এখনও ক্ষমা পাইনি, আপনার কথাতে এটা বুঝা যাচ্ছে। আমার প্রকাশ্যে স্বীকার করা ভুল হয়েছে।’
এখানেই শেষ নয়। আশরাফুল আরও বলেন, ‘নান্নু ভাই যেভাবে নাম ধরে দেশদ্রোহী, ম্যাচ ফিক্সার বললেন, এটা তো ২০১৩ সালে হয়েছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, শাস্তিও হয়েছে। যেভাবে আক্রমণ করলেন, কষ্ট লেগেছে। আমি তো উল্টাপাল্টা কিছু বলিনি। আর আমি কোনো ব্যক্তির নাম বলিনি, আমি ঐ দায়িত্বের কথা বলেছি। নান্নু ভাই লাইভে এসে সরাসরি আক্রমণ করলেন আমার নাম ধরে। এটা আসলে খুব দুঃখজনক।’
এবার এর উত্তরে কী বলেন নান্নু, সেটাই দেখার বিষয়। কারণ তার আক্রমণটা একটু বেশিই হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
Discussion about this post