ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একদিকে যখন জমে উঠছে সুপার লিগে ওঠার লড়াই, অন্যদিকে বিতর্কিত এক আউট ঘিরে চলছে তুমুল আলোচনা। মিনহাজুল আবেদীনের সেই ‘শকিং’ আউট শাইনপুকুরের জয় কেড়ে নিয়ে সুপার লিগের টিকিট দিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে।
ম্যাচটা তখন একেবারে দড়ির উপর। জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৬ রান, হাতে শেষ উইকেট। অবনমনের শঙ্কায় থাকা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব শেষ চেষ্টা চালাচ্ছিল। বিপরীতে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব সুপার লিগে ওঠার মুখে।
এই রোমাঞ্চকর মুহূর্তে মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে আউট হলেন, তা দেখে হতবাক ধারাভাষ্যকার বললেন, ‘শকিং! আমি এমন কিছু কখনো দেখিনি।’
গুলশানের বোলার নাঈম ইসলাম ওয়াইড বল করেন, ব্যাটসম্যান ক্রিজে ফিরেও ব্যাটটা রেখেছিলেন বাতাসে ভাসিয়ে। প্রথম চেষ্টায় স্টাম্প ভাঙতে না পারলেও দ্বিতীয়বারে আঘাতে আউট দেন আম্পায়ার—যেখানে প্রশ্ন থেকে যায় ব্যাট নাকি ক্রিজে ছিল? এমনকি ব্যাট তো শূন্যে!
এই ‘অস্বাভাবিক’ আউট নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গাজী গ্রুপের ক্রিকেটার শামসুর রহমান লিখেছেন, ‘সিরিয়াসলি শেইম।’
সিসিডিএম কো-অর্ডিনেটর সাব্বির আহমেদ রুবেল জানান, ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা না হলেও দুই আম্পায়ারই সন্দিহান-এই কাজটা ইচ্ছাকৃত ছিল, নাকি অজান্তে!
আউট হওয়ার পর মাত্র ৫ রানে হেরে যায় শাইনপুকুর, যারা এই হারে অবনমনের দিকেই ঢলে পড়ে। ১০ ম্যাচে মাত্র ১ জয় পাওয়া দলটি টেবিলের একেবারে তলানিতে। অপরদিকে ৬ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গুলশান উঠে গেছে ৩ নম্বরে।
প্রথমে ব্যাট করে গুলশান করে ৪১ ওভারে ১৭৮ রান। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন সাকিব শাহরিয়ার। শাইনপুকুরের নিয়ন জামান নেন ৩ উইকেট। জবাবে শাইনপুকুর এগোচ্ছিল শরিফুল ইসলামের ২০ বলে ২২ রানে, কিন্তু বিতর্কিত আউট ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়।
মোহামেডান বনাম অগ্রণী ব্যাংক
মুশফিকের ব্যাটে বড় জয় পেয়েছে মোহামেডান। ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অগ্রণী ব্যাংক অলআউট ২১৩। অমিত হাসানের ১০৫ রানের সেঞ্চুরিও হার এড়াতে পারেনি।
মোহামেডান ১০ ম্যাচে ৮ জয়, পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বরে। অগ্রণী ব্যাংক: ৫ জয় নিয়ে ৫ নম্বরে।
আবাহনী বনাম প্রাইম ব্যাংক
আবাহনীর জয়রথ চলছেই। ৯ উইকেটে ২৯০ রানের জবাবে প্রাইম ব্যাংক গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে। ১৩৩ রানের বিশাল জয়ে টেবিলের শীর্ষে জায়গা পাকা আবাহনীর।
আবাহনী: ১০ ম্যাচে ৯ জয়, ১৮ পয়েন্ট। প্রাইম ব্যাংক: ৫ জয় নিয়ে ৭ নম্বরে।
Discussion about this post