চার মাস আগেও মনে হয়েছিল তার ক্রিকেট প্রশাসনিক অধ্যায় হয়তো শেষ হয়ে গেছে। সভাপতির পদ হারিয়েছেন, পরিচালকদের অনাস্থায় সরিয়ে দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। কিন্তু ইতিহাসে যেমন চমক থাকে, ফারুক আহমেদের ফেরাটাও তেমনই নাটকীয়। নতুন বিসিবি নির্বাচনে পরিচালক হিসেবে জিতে এবার তিনি ফিরে এলেন আরও বড় ভূমিকায়-সহ-সভাপতি হিসেবে।
একসময় অপসারিত হওয়া সেই ফারুকই এখন আবার বোর্ডরুমে। তবে অতীতের ক্ষত নয়, সামনে এগিয়ে যাওয়াই তার লক্ষ্য। দায়িত্ব পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘এখন আমরা সামনে এগিয়ে যাব, আমি পিছনে যেতে চাই না। একটা পূর্ণাঙ্গ বোর্ড হয়েছে। আমরা সামনের দিকে দেখতে চাই। বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ফারুক ও নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল এনএসসি। পরে নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করলে সভাপতির দায়িত্ব পান ফারুক। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই বিপিএল ব্যবস্থাপনা ও বোর্ড পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তখন পরিচালকদের মধ্যে ৮ জনই লিখিতভাবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা ছিল তিক্ত, কিন্তু ফারুক এখন তা নিয়ে আলোচনায় যেতে চান না।
ফারুক বলেন, ‘কিন্তু আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য-সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। নতুন সভাপতি আমিনুল ভাইয়ের নেতৃত্বে এখন একটা পূর্ণাঙ্গ বোর্ড পেয়েছি। আশা করি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারব।’
রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমির কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করে সর্বোচ্চ ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক। সেখান থেকেই বোর্ডে ফিরে সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন। তার মতে, এই বোর্ডের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে ঐক্য, ‘সভাপতি বলেছেন, আমাদের সবার লক্ষ্য এক-বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন। এখানে যারা বসে আছি, সবাই একই জিনিস চাই। পথে কিছু বাধা আসবে, কিন্তু সেটাকে সামলাতে হবে একসঙ্গে।’
Discussion about this post