শেষ হল জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির কার্যকাল। গতকাল ৩০ জুন পুরো দুই বছর পার হল আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশারের দায়িত্ব।
গত দুই বছর নির্বাচকের দায়িত্ব পালনে তারা যে আহামরি সফল; তা বলছেন না আকরাম, মিনহাজুল ও বাশার ভক্তরাও। তবে নির্বাচক হিসেবে তারা বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েননি। তাই তাদের বাদ দিয়ে নতুন নির্বাচক করার কোনো গুঞ্জন শোনা যায়নি ক্রিকেটপাড়ায়। নির্বাচকরা যে স্ট্যান্ডিং কমিটির অধীনে, সেই ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজও এ নির্বাচক কমিটি বদলের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সম্পর্কে তার কথা, ‘মেয়াদকাল শেষ হয়েছে। এখন বিকল্প দুুটি। হয় তাদের সঙ্গেই নতুন করে চুক্তি করা। না হয় নতুন নির্বাচক নিয়োগ দেওয়া। আমার মনে হয় না, এ কমিটি বদলের মতো অবস্থা হয়েছে। তারা থাকতে চাইলে এ তিন সাবেক জাতীয় অধিনায়কের কাউকে বাদ দেওয়ার চিন্তা নেই আমাদের।’
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যানের এমন মন্তব্যের পরও নির্বাচক কমিটিতে রদবদল আসতে পারে। কারণ বোর্ড ব্যবস্থাপনায় জড়িত হওয়ার আশায় নির্বাচক পদ ছাড়তে পারেন প্রধান নির্বাচক আকরাম খান। সেটা গুঞ্জন নয়-সত্যি। আকরাম নিজে মুখেই বলেছেন তা। এ সম্পর্কে তার কথা, ‘আমি বোর্ড ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত হতে চাই। মার্চে নির্বাচন হলে আগেই পদত্যাগ করতাম। আমাকে বোর্ডে পেতে চাইছেন অনেকে। আমি নির্বাচন করার মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছি। এখন নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেই সরে দাঁড়াব।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১২ এশিয়া কাপের দল নির্বাচন নিয়ে তখনকার বোর্ডপ্রধান মোস্তফা কামালের অযাচিত হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আকরাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে আবার নিজ পদে ফিরে আসেন। ক্রিকেটপাড়ায় জোর গুঞ্জন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই আকরাম খানকে বোর্ড কর্তা হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ এসেছে। আর সে কারণেই প্রধান নির্বাচকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়েও বোর্ড অফিসিয়াল হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আকরাম।
Discussion about this post