ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ের পরই নিশ্চিত হয়ে যায় এবারের বিশ্বকাপ পেতে যাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। নতুন আলোয় ভাসবে লর্ডসের ময়দান। রোববার ওয়ানডের বিশ্বসেরার লড়াইয়ে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড। দুই দেশের জন্যই ট্রফি সোনার হরিণ হয়েই আছে।
এরমধ্যে ট্রফি ছোঁয়ার কাছাকাছি তিনবার গিয়েছিল ইংলিশরা। কিন্তু হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। দীর্ঘ ২৭ বছরের এবার শেষ করতে চায় ইয়ন মরগানের দল। আর নিউজিল্যান্ড গতবার পেয়েছিল শিরোপার সুবাস। বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্টের গত আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার মানে তারা। এবার শিরোপায় চোখ রেখেই নামবে তারা। দলটাও বেশ চাঙ্গা।
ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যে দলই জিতুক না কেন, দীর্ঘ ২৩ বছর পর বিশ্বকাপ পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে দ্বাদশ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতে ফাইনালের টিকিট পায় ইংল্যান্ড।
এই লড়াইয়ের আগে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়ামসন বলেন, ‘টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারাটা অনেক বড় অর্জন। গত আসরের আক্ষেপটা আমরা এবার ঘুচাতে চাই। লিগ পর্বে আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছি। কিন্তু এখন এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই। কীভাবে ফাইনালে ইংলিশদের হারানো যায় আমরা এখন কেবল সেটাই ভাবছি।’
ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান বলছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া কঠিন প্রতিপক্ষ। সেমিতে তাদের হারানোটা আমাদের জন্য ছিল বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। আমার দল সেই চ্যালেঞ্জে হেসেখেলেই জিতেছে। যেটা ফাইনালে আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। আমি জানি, নিউজিল্যান্ড আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য অনেক বড়- শিরোপা জয়। কিউইদের ছুড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ জিততে পারলেই লক্ষ্যটা পূরণ হবে।’
ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ৯০টি ম্যাচ। এরমধ্যে ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে ৪১টিতে। ৪৩টিতে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ৪টি ম্যাচ পরিত্যক্ত। আর টাই হয়েছে ২টি ম্যাচ। বিশ্বকাপে তাদের ৯ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ৫ বার জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড জিতেছে ৪ বার।
Discussion about this post