কে হচ্ছেন বাংলাদেশের নতুন টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক? নাকি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই অধিনায়ক পড়ে ফের ফিরছেন? এমন প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট। যদিও এনিয়ে সরাসরি উত্তর আসেনি। নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কে হচ্ছেন সেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে সরাসরি কিছুই বললেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বৃহস্পতিবার বোর্ড সভা শেষে রহস্যই রাখলেন পাপন। বোর্ড সভায় এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। অবশ্য অধিনায়কের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছেন বোর্ড প্রধান। জানা গেল- দুই দিনের মধ্যে অধিনায়ক এবং এশিয়া কাপের দল ঘোষণা হতে পারে।
তার আগে মিলল টি-টুয়েন্টি অধিনায়কের চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। মজার ব্যাপার হলো তালিকায় আছেন সমালোচনায় থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়ক নির্বাচনের প্রশ্ন পাপন বলেন, ‘আগেই তো বলেছি সিরিজ শেষে আলোচনা হবে। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের খেলোয়াড়রা প্রায় একই। আগেও বলেছি সিরিজ শেষ হওয়ার আগে কোনও কথা নেই।’
পাপন আরও যোগ করলেন, ‘অধিনায়কত্বে তিনটা নাম আছে। এর মধ্যে মাহমুদউল্লাহর নামও আছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু বলা কঠিন। তবে মাহমুদউল্লাহর নাম আছে। সাকিব আল হাসানের নাম নিশ্চিতভাবেই আছে। অস্বীকার করার কিছু নেই। কারও একটা নাম আছে। আগে আরও একটি নাম ছিল- লিটন দাস। আপনাদের স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড বলছি। এখন তো দেখছি নতুন করে যোগ হচ্ছে সোহান। অনেকে মনে করছে সোহানও ভবিষ্যতের অধিনায়ক।’
এই তালিকায় থাকাদের সঙ্গে কথা বলেই অধিনায়ক ঠিক করবে বিসিবি। বোর্ড প্রধান বললেন, ‘নতুন অধিনায়ক যাকেই করি তার সঙ্গে তো বসতে হবে আগে। সে হতে চায় কি না সেটাও তো জানতে হবে। যেই চারটি নাম বললাম, এদের মধ্যে একজন অলরেডি না করে দিয়েছে। আমি বলবো না কে? বোর্ড বা ম্যানেজমেন্ট কী চিন্তা করলো সেটা যথেষ্ট না। যাদের কথা বলছি তারা হতে চায় কি না সেটাও জানতে হবে।’
এই লড়াইয়ে কি সাকিব এগিয়ে? তিনিই কি হবেন ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অধিনায়ক? পাপন বলেন, ‘সব কিছু চিন্তা করেই নামটা দেওয়া হবে। ভালোটাই দেওয়া হবে। আপনাদের অস্থির হবার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত আমরা টেস্ট অধিনায়ক জানি, আমরা ওয়ানডে অধিনায়ক জানি। টি-টোয়েন্টিতে যদি দুই অধিনায়ক বা তিন অধিনায়কের নাম বলে দেই, তাহলে আপনারা সহজেই বুঝে যাবেন সাকিব হচ্ছে কি হচ্ছে না। আমি এখন তো এই জিনিস বলবো না।’
Discussion about this post