১৮২ রানে ভারতের নেই ৯ উইকেট। জয়ের জন্য ম্যাচের শেষ দুই ওভারে রান প্রয়োজন ১৭। এ অবস্থায় ৪৯ ওভারের প্রায় পুরোটাই নষ্ট করে মাত্র ২ রান নিলেন ইশান্ত শর্মা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ১৫ রান। উইকেটে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বোলার সামিন্দা এরাঙ্গা। প্রথম বলে রান পেলেন না ধোনি। দ্বিতীয় বলে হাঁকালেন ছয়, এরপরের বলে এলো চার এবং চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে এক উইকেটের নাটকীয় জয়টা তুলে নেন ভারত অধিনায়ক। সেই সঙ্গে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল জিতে নেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার শুরটা ভালো ছিল না। আগের ম্যাচে বল হাতে ভারতকে জিতিয়েছিলেন তরুণ পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। এদিন ভারতকে শুভ সূচনা এনে দেন তিনি। থারাঙ্গা (১১) এবং মাহেলা জয়াবর্ধনেকে (২২) ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর অবশ্য সাঙ্গাকারা-থিরিমান্নের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এ সময় মনে হয়েছিল বড় স্কোরই গড়তে যাচ্ছে তারা। কিন্তু ৭১ রানে সাঙ্গাকারা এবং ৪৬ করে থিরিমান্নে ফিরে যাওয়ার পরই শুরু হয় শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়। শেষ ৬ ব্যাটসম্যান আউট হন দুইয়ের কোটা স্পর্শ করার আগেই। শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় মাত্র ২০১ রানে। স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ২৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও অশ্বিন।
২০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেল ভারত। ২৭ রানে নেই দুটি উইকেট। তবে ওপেনার রোহিত শর্মার দৃঢ়তায় ৪ উইকেটে ১৩৯ রানে চলে যায় ভারত। তখন মনে হয়েছিল ম্যাচ জেতা ভারতীয়দের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু দ্রুতই পাল্টে যায় সেই পরিস্থিতি। হঠাত্ই যেন উইকেট বিসর্জনে মেতে ওঠেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৫৮ রানে ফিরে গেলেন রোহিত শর্মা। এরপর ফিরলেন রায়না (৩২), জাদেজা (৫), অশ্বিন (০)। এক পর্যায়ে রান দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৮২। সেই নাটকীয় অবস্থায় উইকেটে ধোনির সঙ্গী ইশান্ত শর্মা। তখন কঠিন পরীক্ষাটা দিলেন অধিনায়ক ধোনি। দলকে টেনে তুললেন খাদের কিনারা থেকে। ৫২ বলে অপরাজিত ৪৫ রান করে ম্যাচ জেতান ভারত অধিনায়ক। ইশান্ত শর্মা অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ২ রান নিয়ে।
ম্যাচ সেরা ধোনি।
Discussion about this post