এইতো সেদিনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাইশ গজে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন বুনতেন, তিনিই আজ ভাবছেন-কীভাবে দেশের তরুণদের জন্য আরও বড় কিছু করা যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তামিম ইকবালের জীবনে এসেছে এক নতুন মোড়-সেই মোড়ের নাম, সংগ্রাম, প্রত্যাবর্তন এবং নেতৃত্ব।
গত মার্চে একটি সাধারণ দিনের মতোই মাঠে নামেন তামিম। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সে দিন রূপ নেয় এক দুঃস্বপ্নে। দুইবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। হার্টে বসে রিং। জীবন ও মৃত্যু—এই সীমারেখা থেকে ফিরে এসে তামিম এখন আর আগের তামিম নন। দায়বদ্ধতাই হয়তো তাকে টেনে নিয়েছে সমাজ ও রাজনীতির মঞ্চে। সম্প্রতি বিএনপির ‘তারুণ্যের মহাসমাবেশ’-এ যোগ দিয়ে তামিম বললেন এমন সব কথা, যেগুলো শুধু একজন সাবেক ক্রিকেটারের নয়-সেটি একজন ভাবনার মানুষ, একজন সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের কণ্ঠ।
তামিম বলেন, ‘এক সময় জাতীয় দলে চট্টগ্রামের ৬-৭ জন খেলোয়াড় থাকত। এখন মাত্র একজন-দুজন। কেন এমনটা হলো, তা খুঁজে বের করতে হবে।’ তামিম তরুণদের বলেন, দোষারোপ নয়, নিজের উন্নতিতে মনোযোগ দাও। স্পোর্টসম্যানশিপ মানেই আত্মবিশ্লেষণ। এসব কথা শুধু অনুপ্রেরণা নয়-এ এক নতুন রূপরেখা, যেখানে নেতৃত্ব আসছে অভিজ্ঞতা থেকে, মাঠের ঘাম থেকে।
রাজনীতি হোক কিংবা ক্রীড়া সংগঠন-তামিমের পরবর্তী পদক্ষেপ এখনো নিশ্চিত নয়। কিন্তু একটুকু পরিষ্কার—তামিম ইকবাল থেমে নেই, তিনি চলতে চান দেশের জন্য, তার শহরের জন্য, তরুণ প্রজন্মের জন্য।
Discussion about this post