সাকিব আল হাসান কি তার বিদায়ী টেস্ট বাংলাদেশে খেলতে পারবেন? -এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তবে তার ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। বিদায়ী টেস্ট খেলতে সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল সেটি দূর হতে যাচ্ছে।
দেশের মাঠ থেকেই বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের অবসরের বেশ ভাল সম্ভাবনা আছে বলে জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। মিরপুরে সোমবার বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। সাকিবের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশ থেকেই অবসর নেওয়ার।’
সাকিব এরইমধ্যে জানিয়েছেন-বিশ্বকাপে নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন তিনি। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটকেও বিদায় জানানোর ঘোষণাটাও দিয়েছেন। কিন্তু তার দেশে ফেরা অনিশ্চিত। তিনি গত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন। সেই সরকারের পতনের পর হত্যা মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় দেশে এসে টেস্ট ম্যাচটি খেলে ফিরে যাওয়ার নিরাপত্তাটাও চাইলেন সাকিব।
সোমবার বোর্ড সভা শেষে সাকিবের নিরাপত্তার ইস্যুতে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘লিগ্যালটা তো আমি বলতে পারবো না। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে, আমি তো ছোট মানুষ, বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আমার হাতে ক্ষমতা খুব কম। সাকিবের ব্যাপারটা পুরোপুরি সরকার থেকে আসতে হবে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সরকার আছে, উপদেষ্টা আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে তার সামগ্রিক দায়িত্ব নেওয়ার। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা, স্টেডিয়ামের ভেতর ও ইনডোরে যাবে, মাঠে খেলবে, অনুশীলন করতে যাবে; এই দায়িত্ব নেওয়াটা তো খুব সহজ। এটা আমরা নিতে পারবো।’
এদিকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকেও রাখতে চায় না বিসিবি। একই দিনে ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। এই প্রবাদটা আপাত জাতীয় দলের কোচ প্রসঙ্গে ঠিক চলে না। তবে কোচকে আমরা রাখবো না। কিন্তু এখনো তার ছয়মাস আরো চুক্তি আছে। এখনো আমাদের আরো তিনটি সিরিজ আছে সামনে। আমরা চেষ্টা করছি, পজিটিভ কিছু হয়তো দেখতে পাবেন। আগের মতোই বলছি, খুব শিগগিরই ফল দেখতে পাবেন।’
বিসিবির সঙ্গে হেড কোচ হাথুরুসিংহের চুক্তির মেয়াদ হলো আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অব্দি। এই মেয়াদের আগে তার চুক্তি বাতিল করলে প্রায় দুই কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দিতে হবে তাকে।
Discussion about this post