ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফিক্সিং কান্ডে জড়াননি। তবে প্রস্তাব পেয়ে আইসিসিকে না জানিয়েই যে সাকিব আল হাসান করেছেন বড় ভুল। মঙ্গলবার তাই তিনি পেয়েছেন দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। এরমধ্যে আছে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। সব মিলিয়ে আপাতত এ তারকা মাঠের বাইরে থাকবেন পুরো এক বছর। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে খেলবে ৩৬ ম্যাচ। কিন্তু সেসব ম্যাচে তারকা এ অলরাউন্ডার খেলতে পারবেন না।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সাকিব খেলতে পারবেন না ১৩টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ২০টি টি-টোয়েন্টি।
এ বছরের নভেম্বরে ভারতের মাটিতে ৩টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এদিকে আগামী বছরের শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি টেস্ট ও ৩টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। ২০২০ সালের মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগাররা খেলবে একটি টেস্ট ও ৫টি টেস্ট। একই বছরের মে মাসে বাংলাদেশ যাবে আয়ারল্যান্ডে। সেখানে একটি টেস্ট, ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। তাছাড়া ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। ঐ সময়ে সফরকারীদের বিপক্ষে টিম টাইগার্স খেলবে দুটি টেস্ট। পরের মাসে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে টাইগাররা খেলবে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড। খেলকে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এ সিরিজ শেষ হওয়ার এক মাস পরই ফিরতি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড উড়বে বাংলাদেশ। সেখানে তারা খেলকে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপরই অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা।
আগামী এক বছর এতএত খেলা বাংলাদেশের। কিন্তু থাকবেন না টাইগার তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যাপারটি আসলে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা।
Discussion about this post