প্রথম ম্যাচটাতে রীতিমতো ভয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে ভুল হয়নি। অনেকটা অনায়াসেই জিতেছে টাইগাররা। প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দুর্বল বলে সেই জয়েও অবশ্য লেগে আছে কিছু প্রশ্ন! বিশ্বকাপের আগে অনেক ঘাটতিই যে রয়ে গেছে বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতল ৩২ রানে। এই জয়ে আমিরাতের বিপক্ষে ২-০তে সিরিজ জয়। কিন্তু তাতে কী স্বস্তি মিলছে? মোটেও না। ব্যাটিং-বোলিং দুটোতেই যে অনেক ভুল!
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে নেমে বাংলাদেশ প্রথমে তুলল ২০ ওভারে ১৬৯ রান। অথচ স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। ওপেনার হিসেবে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ বেশ লড়াই করলেন। খেললেন ৩৭ বলে ৪৬ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর সংগ্রহটা দুইশর কাছাকাছিও যেতে পারতো। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না কেউ।
বোলারদের কথাও বলা যায়। ২৯ রানে ৪ উইকেট হারানো সংযুক্ত আরব আমিরাত ঠিকই খেলল শেষ পর্যন্ত। এরপর মাত্র আর ১ উইকেট হারাল। শেষ অব্দি তারা থামে ৫ উইকেটে ১৩৭ রানে।
সাতদিনের আমিরাত সফর পর্বে দুটো জয় ধরা দিল ঠিকই। তবে সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বে খুব বেশি যে লাভ হলো সেটা বলার সুযোগ নেই। তবে এখন যে ভুলগুলো হয়েছে তা শুধুরে নেওয়ার সময়টা মিলছে। সামনেই ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজ। এরপরই অক্টোবরের মাঝামাঝিতে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু বিশ্বকাপ মিশন!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৯/৫ (মিরাজ ৪৬, সাব্বির ১২, লিটন ২৫, আফিফ ১৮, মোসাদ্দেক ২৭, ইয়াসির ২১*, সোহান ১৯*; সাবির ৩-০-৩৬-০, আরিয়ান ৩-০-১৬-১, আয়ান ৪-০-৩৩-২, জাওয়ার ২-০-১৫-০, কার্তিক ৪-০-২৯-১, জাহুর ৪-০-৪১-০)
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ২০ ওভারে ১৩৭/৫ (ওয়াসিম ১৮, চিরাগ ৫, আরিয়ান ৪, অরবিন্দ ২, রিজওয়ান ৫১*, বাসিল ৪২, জাওয়ার ৮*; সাইফ ৩-০-২৬-০, তাসকিন ৪-০-২২-১, নাসুম ৪-০-৩৬-১, ইবাদত ৪-০-২৪-১, মোসাদ্দেক ২-০-৮-২, সাব্বির ১-০-৯-০, মিরাজ ২-০-১২-০)
ফল: বাংলাদেশ ৩২ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২-০তে জয়ী
ম্যাচসেরা: মেহেদী হাসান মিরাজ
Discussion about this post