হতাশ করা এক সিরিজ। যেখানে বাংলাদেশ দলকে দেখে মনে হয়েছে যেন ব্যাটই করতে পারেনা! আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে দুইবার অলআউট হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তার পথ ধরেই হারল টেস্ট। একইসঙ্গে হোয়াইটওয়ামও হলো।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে দুই ইনিংস মিলিয়েও ৯০ ওভার খেলতে পারল না বাংলাদেশ। এ কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ও ২৭৩ রানের হারে সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে হোয়াইটওয়াশও হলো স্বাগতিকরা।
এটি দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। আগের রেকর্ডটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৭ সালে ব্লুমফন্টেইনে ইনিংস ও ২৫৪ রানে জেতে প্রোটিয়ারা। এই সফরের আগে উপমহাদেশে গত ১০ বছরে টেস্ট জয় ও টেস্ট সিরিজ জেতার রেকর্ড ছিল না। এবার দুটোই পেলো সফরকারী দল।
আবার উল্টো দিকে এটি বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় হার। ২০০২ সাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ও ৩১০ রানের জয় সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার।
বাংলাদেশের ব্যাটিংই শেষ অব্দি ডুবিয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে খেলতে নেমে মাত্র ৩৮ রানে হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। আজ টেস্টের তৃতীয় দিনে উইকেটের মিছিলে ১৫৯ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
নবম উইকেটে এসে লড়েছেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। গড়েন ১০৩ রানের জুটি। ৮২ রান করেন মুমিনুল। ৩০ রান আসে তাইজুলের ব্যাট থেকে।
ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে সেই একই দৃশ্যপট! ৪৭ রানে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। তখনই তৃতীয় দিনেই হার এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় । দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (১১) দুই অঙ্কের পেরোলেও সাদমান ইসলাম আউট হয়েছেন ৬ রান। জাকির হাসান ফেরেন ৭ রানে।
মুমিনুল হক ফেরেন ০ রানে। ২ রান মুশফিকুর রহিম। মেহেদী হাসান মিরাজ ৬। শান্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান তুলে আউট। তাইজুল করেন ১ রান। অঙ্কন ২৯ ও হাসান ৩০ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৫৭৫/৬ (ইনিংস ঘোষণা)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৫.২ ওভারে ১৫৯ (মুমিনুল ৮২, শান্ত ৯, মুশফিক ০, মিরাজ ১, মাহিদুল ০, তাইজুল ৩০, নাহিদ ০*; রাবাদা ৯-১-৩৭-৫, প্যাটারসন ১০-১-৩১-২, মহারাজ ১৬.২-৪-৫৭-২, মার্করাম ৫-১-৭-০, মুল্ডার ২-১-৫-০, মুথুসামি ৩-১-১০-১)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (ফলো-অনের পর) ৪৩.৪ ওভারে ১৪৩ (জয় ১১, সাদমান ৬, জাকির ৭, মুমিনুল ০, শান্ত ৩৬, মুশফিক ২, মিরাজ ৬, মাহিদুল ২৯, তাইজুল ১, হাসান ৩৮*, নাহিদ ০; রাবাদা ৭-১-১৭-০, মুল্ডার ২-০-৫-০, প্যাটারসন ৩-০-৬-১, মুথুসামি ১৩-৩-৪৫-৪, মহারাজ ১৬.৪-০-৫৯-৫, মার্করাম ২-০-৭-০)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ২৭৩ রানে জয়ী
সিরিজ: দক্ষিণ আফ্রিকা ২-০তে জয়ী
ম্যাচসেরা: টনি ডি জর্জি।
সিরিজসেরা: কাগিসো রাবাদা।
Discussion about this post