সত্যিকার অর্থেই দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে তিনি। জাতীয় দল থেকে আগেই ছিটকে গেছেন। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও নিজ দলে জায়গা হারালেন সৌম্য সরকার। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা নেই, তাই তার দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব একাদশে রাখেনি।
মঙ্গলবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডের মুখোমুখি হয় মোহামেডান। এই লড়াইয়ে একাদশে রাখা হয়নি সৌম্যকে। ফর্মহীন সৌম্য বাদ পড়লেন। এর আগে ওয়ানডে জাতীয় দলে সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সে ম্যাচে সৌম্য আউট হন মাত্র ১ রানে।
টি-টুয়েন্টি দলেও নেই বিশ্বকাপের পর থেকে। প্রিমিয়ার লিগে রান করেই ফিরতে চেয়েছিলেন জাতীয় দলে। লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলাঘর সমাজ কল্যাণের বিপক্ষে ৫৯ রান করেছিলেন। অন্য ৫ ম্যাচে সৌম্য ফ্লপ। ৬ ম্যাচে (৭, ৫৯*, ৭, ১, ২৩ এবং ৩) রান মোট ১০০।
ঢাকা লিগে আবাহনী লিমিটেড আর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের লড়াই এবার উত্তেজনা ছড়াল না। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সহজেই ম্যাচ জিতে আবাহনী।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান করে মোহামেডান। জবাবে নেমে ২২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় আবাহনী।
অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৫২ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে পাকিস্তানি তারকা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ হাফ সেঞ্চুরি তুললেও বড় স্কোর গড়তে পারেনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
৭ ম্যাচে পঞ্চম জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী রয়েছে তিন নম্বরে। ৭ ম্যাচে টানা তৃতীয় হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে মোহামেডান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৯ ওভারে ২৫৫/১০ (রনি ৩৪, মজিদ ১৪, হাফিজ ৭০, রুবেল ৫১, আরিফুল ১২, শুভাগত ১৪, জাহিদউজ্জামান ১, নাজমুল অপু ২, হাসান ১, মুশফিক ৫*; সাইফ ১০-০-৬৯-১, তানজিম ৯-০৬৯-১, আরাফাত ১০-২-৫২-১, তানভির ১০-১-৪১-১, আফিফ ৭-০-৩৬-২, শামীম ৩-০-২২-০)
আবাহনী লিমিটেড: ৪৬.২ ওভারে ২৫৬/৪ (মুনিম ৩১, নাঈম ০, বিহারি ৫৯, জাকের ৬০, আফিফ ৪৮*, মোসাদ্দেক ৫২*; নাজমুল অপু ১০-০-৪৭-০, শুভাগত ৮-০-৩৮-১, হাফিজ ১০-১-৪০-১, হাসান ৭.২-১-৫০-০, মুশফিক ৫-০-৪০-১, রুবেল ৪-০-২১-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৯-০)
ফল: আবাহনী লিমিটেড ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: আফিফ হোসেন
Discussion about this post